রাজিমুল হক রাকিব শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৪৯ এএম
জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। সবকিছুর দাম বেড়েছে। বাড়েনি শুধু আমার বাবার ইনকাম—এটা বাংলাদেশের লাখো পরিবারের গল্প। বাজারের থলে আর টাকা নিয়ে বাজারে গেলে আগের মতো থলে আর ভরে না। থলে অর্ধেক খালি থাকলেও বাজারের কোথাও খালি নেই। তবে কমেছে থলের সাইজ আর বাজার করার আনন্দ! করোনা সংক্রমণের প্রথম দিককার লকডাউন আর সংকটপূর্ণ অবস্থা মানুষকে যে কত দুর্ভোগে ফেলেছিল তা কারো অজানা না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে মানুষ নতুন স্বপ্ন নিয়ে নামে জীবনযুদ্ধে। বিশেষত মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত যারা লকডাউনে সঞ্চয় ভেঙে জীবনধারণ করত—লকডাউন পরবর্তী সময়ে তারা হয়তো একটু আশা দেখেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ফলাফল শূন্য। আলুর দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে পাইকার ও মজুদদাররা বলছেন আলুর উৎপাদন হ্রাসের কথা। কিন্তু কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরে আলু উৎপাদন হয়েছে এক কোটি নয় লাখ টন। বিপরীতে বছরে চাহিদা রয়েছে ৭৭ লাখ নয় হাজার টন। প্রায় ৩১ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থাকার কথা। প্রশাসন যদি এ বিষয়ে নজর না দিয়ে লোকদেখানো দুয়েকটা অভিযান পরিচালনা করে, তাহলে বাজারব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ হবে কী করে? প্রশাসনের শুভ শক্তি দিয়ে দমন করতে হবে অশুভ কালো শক্তি।