নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২০, ০৭:৩৭ পিএম
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে জীবন ও জীবিকায়। করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। এ খাতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা চেম্বারের এক অনলাইন আলোচনায় উঠে আসে এ তথ্য। এসময় পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের সাথে খাপ খাইয়ে চলার মতো প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনবল গড়ে তোলার তাগিদ দেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডেও করোনার প্রভাব পড়েছে। করোনার প্রভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ হারিয়ে শহর থেকে বিপুলসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ গ্রামে ফিরে গেছেন। তৈরি পোশাক শিল্প, পরিবহন ও নির্মাণ খাতসহ বেশ কয়েকটি খাত মিলে মোট কর্মসংস্থান হারিয়েছেন ২৭ লাখের বেশি মানুষ।
ঢাকা চেম্বারের আলোচনায় বক্তারা বলেন, আগামী বছর বিভিন্ন খাতে ৩১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে প্রযুক্তি খাতে সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৬ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এজন্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি দক্ষ জনবল তৈরির তাগিদ দেন আলোচকরা। এতে বেকারত্বের হার কমে আসবে বলে মনে করেন তারা।
কর্মসংস্থান বাড়াতে পুরোনো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে প্রযুক্তির সাথে সমন্বয় করে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোন দেন বক্তারা।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, কর্মসংস্থান বাড়ানো ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই করোনা পরিস্থিতিতিতে দক্ষ জনবল তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে সরকার।
প্রতি বছর দেশে ২২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান প্রয়োজন। প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসার পরামর্শ দেন বক্তারা।