ইয়েমেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি: জাতিসংঘ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২০, ০১:৫৭ পিএম

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন ভয়াবহতম দুর্ভিক্ষে পতিত হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

গত শুক্রবার তিনি সতর্ক করেছেন যে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের নিষিদ্ধ তালিকায় যুক্ত করার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরফলে ত্রাণকর্মীদের আশঙ্কা, এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে ইয়েমেনে জীবনরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হবে ও সেখানকার পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

এমন সময়ে গুতেরেস ইয়েমেন সম্পর্কে এই সতর্কতা ব্যক্ত করে বলেন, পাঁচ বছর ধরে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের প্রেক্ষিতে দেশটিতে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে- কোনো একতরফা উদ্যোগ সম্ভবত ইতিবাচক হবে না। প্রভাবশালী সবাই যেন বিপর্যয় মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয় আমি সেই আহ্বান জানাই। আমি আরো অনুরোধ করবো- ইতোমধ্যেই শোচনীয় অবস্থায় থাকা দেশটির বিরুদ্ধে কেউ যেন এমন কোনো পদক্ষেপ না নেয়, যা পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করতে পারে।

গুতেরেস আরো জানান, জাতিসংঘ সমন্বিত ত্রাণ কর্মসূচিতে তহবিলের পরিমাণ কমে যাওয়া, ইয়েমেনি মুদ্রায় অস্থিতিশীলতা ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশগুলোর আরোপিত প্রতিবন্ধকতার কারণে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বেড়েছে।

দেশটির ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে পাঁচ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে। আর ইয়েমেনের সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তির সহায়তাপুষ্ট সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত।

২০১৫ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে উচ্ছেদ করে রাজধানী দখলে নেয় হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি রাজধানী রিয়াদে নির্বাসনে যেতে বাধ্য হন হাদি। হুথিদের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একাংশ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh