নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২০, ০৪:৫৫ পিএম
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেললাইনের উভয় পাশে অপচনশীল বর্জ্যর ভাগাড় অবশেষে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২২ নভেম্বর) থেকে বর্জ্য অপসারণ করা শুরু হয়েছে।
কয়েক দশক ধরে রেললাইনের পাশ থেকে বর্জ্য অপসারণ না হওয়ায় তা প্রচণ্ডভাবে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। বাতাসে ওই বর্জ্যরে দুর্গন্ধ সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ত। এতে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা পথ চলতে চলতে বমি করে ফেলত। এমন অবস্থায় জনস্বার্থে বর্জ্যরে ভাগাড় সরাতে স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ বরাবরে তথ্য অধিকার আইনে বর্জ্য অপসারণের তথ্য জানতে আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সৈয়দপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতা রুহুল আলম মাস্টার।
তিনি গত ১১ নভেম্বর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) বরাবরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেন। এর আগে সামাজিক আন্দোলনের ওই নেতা রেল লাইনের পাশ থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য স্থানীয় রেল কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত দরখাস্ত করেছিলেন। দরখাস্তে বলা হয়েছিল- রেললাইনের পাশে অপচনশীল বর্জ্যরে ভাগাড় থাকায় দুর্গন্ধে পথচারীরা চলাচল করতে পারেন না। রেলযাত্রীরাও ভাগাড়ের পঁচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। অনেকে দুর্গন্ধের ঠেলায় বমি করে ফেলে। এমন অবস্থা থেকে জনগণ যাতে পরিত্রাণ পায় সেজন্য বর্জ্যরে ভাগাড় দ্রুত সরিয়ে ফেলতে ওই কর্মকর্তার হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদন করার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও রেল কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছিল না। ফলে রুহুল আলম মাস্টার বাধ্য হয়ে বর্জ্যরে ভাগাড় সরাতে রেল কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তা জানতে এ বছরের ১১ নভেম্বর ২০০৯ সালের তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত করেন। এতে করে রেল কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।
তারা সৈয়দপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে বর্জ্যর ভাগাড় অপসারণ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তাগাদা পত্র দেন। রেল কর্তৃপক্ষের এই তাগাদা পত্র পেয়ে রবিবার থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ রেললাইনের পাশ থেকে বর্জ্য অপসারণ কাজ শুরু করেছেন।
জানতে চাইলে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন বর্জ্য অপসারণ করার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন।