ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:১৮ পিএম
ছবি: ডয়চে ভেলে
ডিসেম্বরে লকডাউনের পথে না গিয়ে দেশেটিকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাজ্যে আর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে না।
এর পরিবর্তে করোনা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাজ্যকে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করা হবে, যেমনটা করা হয়েছিল এর আগেও। এই অঞ্চলভিত্তিক ‘টিয়ার্ড সিস্টেম' কিছু নির্দিষ্ট অংশগুলোতে, যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে কড়াকড়ি বাড়াবে। একেবারে উপরের স্তরে সব পানশালা, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হবে ও সর্বোচ্চ দুটি বাসার মানুষদেরই একে অপরের সাথে মিশতে দেয়া হবে। কিন্তু অন্য টিয়ারগুলোতে ঠিক কী কী কড়াকড়ি থাকবে, তা এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
জনসন জানিয়েছেন, দেশের বেশিরভাগ অংশই সবচেয়ে বেশি কড়াকড়ির দুটি স্তরের মধ্যেই থাকবে। এই নিয়মের আওতায় থাকবে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড।
বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঢেউ ব্যাপকভাবে আছড়ে পড়েছে যুক্তরাজ্যের ওপর। সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫ হাজার, আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে সামনের মাসের নতুন নিয়ম আস্তে আস্তে বিধিনিষেধ শিথিল করবে। নতুন নিয়মের আওতায় মানুষ এখন জিমে, দোকানে, সাজগোজের দোকান ইত্যাদিতে আবার যেতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, মানুষ এখন কোনো নির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়াই বাসা থেকে বেরোতে পারবেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারবেন যুক্তরাজ্যের মানুষ।
এই সংকট থেকে উত্তরণ বিষয়ে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, চিকিৎসা পরিষেবা ও টিকা গবেষণায় দ্রুতহারে উন্নতি আমাদের ভরসা দিচ্ছে যে এই সংকটের মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক সৈন্য প্রস্তুত। আমরা জানি যে আগামী বছর এই সংকট কাটিয়ে উঠবই। এবছর আমরা যা যা কড়াকড়ির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, তা আমাদের আগামী বসন্তে আর করতে হবে না। সংকটের কঠিন মোড় পেরিয়ে এসেছি আর সামনে উত্তরণের পথ খুবই স্পষ্ট।
টিকা গবেষণা এগোলেও মানুষের ওপর তা চাপিয়ে দিতে চান না জনসন। তিনি বলেন, টিকা খুবই ভালো জিনিস, টিকা এলে সবারই তা নেয়া উচিত। কিন্তু কাউকে জোর করে টিকা আমরা দেব না। আমাদের দেশে তা হয় না। -ডয়চে ভেলে