নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০৩:২৮ পিএম
ফাইল ছবি: স্টার মেইল
বিপুল অর্থ, অস্ত্র-মদ ও সোনাসহ গ্রেফতার মনির হোসেনের (গোল্ডেন মনির) ও তার স্ত্রী রওশন আক্তারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিস দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) তাদেরকে নোটিস পাঠানো হয় বলে কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে হবে।
দুদক পরিচালক আকতার হোসেন আজাদের স্বাক্ষরে পাঠানো নোটিসে তাদের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে।
প্রণব কুমার বলেন, মনিরের নামে কয়েকটি অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। আশা করা যাচ্ছে এই অনুসন্ধান কাজ দ্রুত শেষ হবে। এছাড়া আট বছর আগে মনিরের অবৈধভাবে অর্জিত এক কোটি ৬১ লাখ টাকার সম্পদ মা ও স্ত্রীর নামে দেয়ার অভিযোগে একটি মামলাও করেছে দুদক। এই মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।
মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাড়িতে র্যাব-৩ গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালানোর পর মনিরকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তার বাড়ি থেকে নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা, চার লিটার মদ, আট কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারের পর মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এক সময় কাপড়ের দোকানের সেলসম্যান মনির এখন প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার মালিক বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে মনিরের নামে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ২৬টি প্লট ও অস্থাবর সম্পদসহ ৬১০ কোটি টাকার তথ্য দুদকের হাতে। এছাড়া প্রাথমিক অনুসন্ধানে আরো অনেক সম্পদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকরা অর্থের তথ্য রয়েছে। যা দুদক যাচাই-বাছাই করছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানা গেছে।