ডাকটিকেট ইতিহাসের স্মারক হিসেবে কাজ করে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০২:৫৮ পিএম

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকটিকিট একটি জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংস্কৃতি, বরেণ্য ব্যক্তিদের ইতহাসের স্মারক হিসেবে কাজ করে।

তিনি বলেন, চিঠি লেখার দিন থাকুক বা না থাকুক ডাকটিকেটের প্রয়োজনীয়তা আছে-থাকবেও।। জ্ঞানার্জনের জন্য ডাকটিকিটে যে তথ্য পাওয়া যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া দুষ্কর। নতুন প্রজন্মকে তাই ডাকটিকেট সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে।

একইভাবে এটি একটি সৃজনশীল কাজ হওয়ায় অঙ্কন-ডিজাইনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত সৃজনশীল মানুষদেরকে স্মারক ডাকটিকেটের ডিজাইনে কাজে লাগাতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্ত্রী গতকাল শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ওয়েবিনারে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সোসাইটি আয়োজিত স্মারক ডাকটিকেটের প্রেক্ষিত বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সংগঠনের নেতা হাবিবুঠমঠাহ আলম বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকেট সংগ্রাহক আনোয়ারুল কাদের, লস্কর ইফতেখার, অনমশরা ইসলাম প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

ডাকমন্ত্রী বলেন, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেভাবে স্মারক টিকেটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতেও স্বাধীনতার ঘটনাবহুল বিষয়গুলো নিয়ে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হবে। এই সব স্মারক ডাকটিকেট ইতিহাস জানার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কি কি বিষয়ের উপর স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা যায় এই ব্যাপারে ফিলাটেলিক সংগঠন সমূহের মতামত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটালাইজেশনের যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা ইতিমধ্যে শুরু করেছি। ডাকঘরের সাথে দেশের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সম্পর্ক আছে। ২০২১ সালের পর ডাকঘরের বিদ্যমান চিত্র আর থাকবে না। ডাকঘর হবে অতীতের মতোই মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ঠিকানা।

বক্তারা স্মারক ডাকটিকেট একটি জাতির ভবিষ্যত জ্ঞান সম্পদ উল্লেখ করে বলেন, ইতিহাস ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের পাহাড়, ঝর্ণাসহ নানা প্রাকৃতিক রূপ বৈচিত্র নিয়ে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা যায়। এর ফলে দেশে বিদেশে এর চাহিদা আরো বাড়বে। 

তারা ডাক অধিদফতরের ফিলাটেলিক ব্যুরোকে আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। -বাসস

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh