অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত রামরায় দিঘী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৩৩ এএম

ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ছবি: ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

শীত এলেই দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম জলাশয় রামরাই দিঘী সেজেছে নতুন সাজে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখির দল এই দিঘীকে সাজিয়েছে নতুন করে।

রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের কাছেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম জলাশয়। উপজেলা শহর থেকে অটো, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ যেকোনো বাহনে করে যাওয়া যায় দিঘীতে।

শীতের আগমনে রামরাই দিঘীতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখির দল। পাখিদের কলতানে পুরো দিঘি এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘিপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। ভোর হওয়ার সাথে সাথে খাবারের সন্ধানে দিঘীতে ভিড় জমায় তারা। পাখিদের এই কলতানের দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে রামরাই দিঘীতে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমী পর্যটকরা।

রংপুর বিভাগ থেকে ঘুরতে আসা এক অতিথি বলেন, বাড়িপাশের রংপুর চিড়িয়াখানার দেশি-বিদেশি পাখি দেখেই অভ্যস্ত আমি। কিন্তু পাখির ছোটাছুটি, কলতান যে এত মনোমুগ্ধকর হয় তা এখানে না এলে জানতে পারতাম না।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের এখানে যে অতিথি পাখি আসছে তার নাম ছোট সরালি। শীতের শুরু থেকে বহু মানুষ আসছেন এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য। অনেক সময় অনেক পাখি শিকারিরাও আসেন পাখি শিকারের উদ্দেশে। আমরা সবসময় তাদের নিরুৎসাহিত করি কারণ অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আসে অতিথি হয়ে। কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা এলাকাবাসীরা সারাক্ষণ সজাগ আছি। এছাড়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও প্রশাসনিক সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh