নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:৫৯ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৩:০১ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিজয় দিবসে খোলা জায়গায় অনুষ্ঠান করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে সেজন্য দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে মহান বিজয় দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নকল্পে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি মহান বিজয় দিবসে আনন্দের দিনে লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসবেন। বেরিয়ে আসলে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেব কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইনডোর বা ঘরোয়া অনুষ্ঠান যারা করতে চান তারা করতে পারবেন। কিন্তু সেই বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আগে জানাতে হবে। যাতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের পাশে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, মহান বিজয় দিবসে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সঠিক মাপ ও রঙের জাতীয় পতাকা যথাযথভাবে উত্তোলন করতে হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনির ব্যবস্থা থাকবে। বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় স্মৃতিসৌধ সাভারে গমনাগমন ও পুষ্পার্ঘ অর্পণকালীন সময়ে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিকরা, যারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন- তাদের যথাযথ নিরাপত্তা দেয়া হবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায়ও পর্যাপ্তসংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার রাস্তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।
তিনি বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে (মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা) শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত এবং জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত প্রার্থনা করা হবে। বিজয় দিবসে কারাগার হাসপাতাল বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস সেবায় নিয়োজিত থাকবে। বিজয় দিবস সুষ্ঠুভাবে সম্মেলনের জন্য ঢাকাসহ দেশের সব স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যেকোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। দেশব্যাপী গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তে মাদকসহ অন্যান্য চোরাচালান বন্ধে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।