ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:২৩ এএম
অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির যেসব অভিযোগ তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এমন জালিয়াতির প্রমাণ দেখতে পাইনি যা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে।
পরাজয় স্বীকার না করা ট্রাম্পের জন্য তার এই অবস্থানকে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে ট্রাম্পের অন্যতম মিত্র বলে মনে করা হয়।
একদিকে যখন জো বাইডেনের বিজয়ের ফলাফলের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে, তখন পরাজিত হওয়া অঙ্গরাজ্যগুলোয় একের পর এক মামলা করে চলেছেন ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবির।
নির্বাচনে বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট, যেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। ভোট পাওয়ার দিক থেকে ট্রাম্পের চেয়ে ৬২ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন বাইডেন।
তবে ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর থেকেই কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই একের পর পর এক ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। যখন বারের এই ঘোষণা এলো, তখনো ট্রাম্প কোন তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই টুইটারে আবারো ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।
নির্বাচন নিয়ে একটি দাবি করা হয়েছে, ভোটিং মেশিনগুলো হ্যাক করে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে যে, সেটি ভোটের ফলাফল পাল্টে জো বাইডেনের পক্ষে নিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে সেই দাবির প্রসঙ্গে বার বলেছেন, বিচার বিভাগ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এই দাবি তদন্ত করে এখন পর্যন্ত এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ে গ্রহণযোগ্য অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।
বার আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগকে সব কিছু সমাধানের একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। কেউ যদি কিছু পছন্দ না করে, তখন তারা চায় যে, বিচার বিভাগ এসে সেটার তদন্ত করতে শুরু করুক।
তার এই মন্তব্যের বিষয়ে ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি ও জেনা এলিস একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, অনিয়মের ও পদ্ধতিগত জালিয়াতির যথেষ্ট প্রমাণের ব্যাপারে সেটা নিয়ে তদন্ত বা জ্ঞান ছাড়াই তিনি মতামত দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।
উইলিয়াম বারের এই মন্তব্যের পর সিনেটে ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার বলেছেন, আমার ধারণা, এরপরে তিনিই হয়তো বরখাস্ত হতে চলেছেন।
এর আগে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে 'অত্যন্ত ভুল' মন্তব্য করার জন্য সাইবার সিকিউরিটি ও ইনফ্রাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিসা) প্রধান ক্রিস ক্রেবসকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প।
ক্রেবস টুইটারে বলেছিলেন, নির্বাচনী পদ্ধতি জালিয়াতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ৫৯ জন নির্বাচনি নিরাপত্তা কর্মকর্তা একমত হয়েছেন যে, আমাদের জানা মতে কোনো ঘটনাতেই এরকম অভিযোগের ভিত্তি নেই ও প্রযুক্তিগতভাবেও সেটা সম্ভব নয়। -বিবিসি