ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: নুরের তিন সহযোগী রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতার দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহীদুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সহযোগী এই তিন নেতা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান সোহাগ ও সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।

কারাগার আটক তিন আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এরপর লালবাগ থানার মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রত্যেকের পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।  রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।  

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। আসামিদের মধ্যে ধর্ষণে ‘সহায়তাকারী’ হিসেবে নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ঘটনাস্থল হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর বাদী কোতয়ালী থানায় একই অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী।