অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ থেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৪২ এএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১০:৪৩ এএম

অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার দুই মাসের মধ্যে এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শনিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। 

প্রাথমিকভাবে দেশের ১০টি জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

অ্যান্টিজেন পরীক্ষার আওতাভুক্ত জেলাগুলো হলো- গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট।

দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা নেই, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণের হার বেশি, এমন ১০টি জেলাকে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ওই জেলাগুলোর কভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোয় এরই মধ্যে টেস্ট কিট পাঠানো হয়েছে।  

গত বুধবার (২ ডিসেম্বর) রাতে ডা. ফ্লোরা গণমাধ্যমকে বলেন, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার কার্যক্রম চালাতে ইতিমধ্যে চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। শনিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, যেসব জেলায় আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, প্রাথমিকভাবে সেসব জেলাকে অ্যান্টিজেট টেস্ট শুরুর জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য জেলায় এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে। এই ১০ জেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তীতে আরো ১০ জেলায় টেস্ট শুরু হবে। এভাবে ধাপে ধাপে সারাদেশে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, যাদের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, স্বাদ-গন্ধ নেয়ার ক্ষমতা লোপ পাওয়া) আছে, প্রাথমিকভাবে তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। আগেই নীতিমালা করা হয়েছে। যদি কারো রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে তিনি সংক্রমিত। আর নেগেটিভ এলে তখন তার আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হবে।

কারও দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে কি না, তা দ্রুততম সময়ে জানার পদ্ধতি হল অ্যান্টিজেন টেস্ট। এজন্য নাক বা মুখ গহ্বর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন বা আরটি-পিসিআর পদ্ধতি সংক্রমণ শনাক্তে বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। তবে এই পদ্ধতিতে নমুনা সংগ্রহের পর ফল পেতে বেশ সময় লেগে যায়, খরচও তুলনামূলকভাবে বেশি। তাছাড়া সব জায়গায় এ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরিও নেই। সেখানে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে আধা ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে কি না।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh