বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সম্পর্ক, গর্ভপাতের পর একঘরে করলো মসজিদ কমিটি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:১০ পিএম

লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বৈরাগীকুমর গ্রামের এক তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন পার্শ্ববর্তী ভোলারচওড়া গ্রামের সুলতান মুন্সীর ছেলে আব্দুস ছালাম। পরবর্তীতে ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কৌশলে গর্ভপাত করানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর দোষ চাপিয়ে অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। অপরদিকে, স্থানীয় দালালবাড়ী জামে মসজিদে গত শুক্রবার বিকেলে এক বৈঠকের মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দোষারোপ করে একঘরে করার সিদ্ধান্ত দেয় মসজিদ কমিটির লোকজন।

মঙ্গলবার (৮ডিসেম্বর) বিকেলে ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, একঘরে করে দেয়ার পর প্রভাবশালীদের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারটি ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে থানায় গিয়ে অভিযোগও করতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে ওই মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আরফান আলী বলেন, যেহেতু মেয়েটি অন্যায় ও জঘন্য কাজ করেছে, তাই সকলে মিলে মসজিদে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের একঘরে করে রাখা হয়েছে। মেয়ের পরিবার যতদিন পর্যন্ত বিয়ের কাবিননামা দেখাতে না পারবে, ততদিন তারা একঘরে থাকবে। তবে ছেলেটির শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে সেক্রেটারি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

অভিযুক্ত আব্দুস ছালামের পিতা সুলতান মুন্সী জানান, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলেকে বিয়ে দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। ইউপি সদস্য আবু বক্কর দায়িত্ব নিয়েছে বিচারের। তিনি বিচারে যা করবেন, তাই হবে।

এ বিষয়ে জানতে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে একাধিকবার মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। ভুক্তভোগী পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি। তবে যেহেতু ফতোয়াবাজির মতো ঘটনা ঘটেছে, তাই খোঁজ নেয়া হচ্ছে। দ্রুতই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh