ষাটগম্বুজ মসজিদে বাড়ছে দর্শনার্থী

এস.এস শোহান

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:৩৯ পিএম

শীত বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থী বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসছে মুসলিশ স্থাপত্যের অনন্য এই নিদর্শন দেখতে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দুই/একজন বিদেশী পর্যটকও আসছেন এখানে।

পরিবার, পরিজন ও আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ঘুরে খুশি তারা। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে থাকা এবং খাওয়ার জন্য মানসম্মত হোটেল ও রেস্তোরা না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দর্শনার্থীদের।

দর্শনার্থীরা বলছেন, দেশে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত তিনটি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে দুটি বাগেরহাট জেলায়। একটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও প্রায় সাড়ে ৬০০ বছর আগে নির্মিত ষাটগম্বুজ মসজিদ। এটি মুসলিম স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। এখানে যতবার আসিনা কেন মন ভরে না। বার বার আসতে মন চায়। ষাটগম্বুজকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের জন্য বাগেরহাটে তেমন কোন স্থাপনা ও অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। তাই বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদের ইতিহাসকে আরো বেশি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে একটি সুভ্যেনির শপ থাকলে ভালো হতো।

সিলেট থেকে আসা দর্শনার্থী মুমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মুসলিম ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ। ইচ্ছে থাকলেও আগে আসা হয়নি। এই প্রথম আসলাম এখানে। ভালো লাগলো।

দর্শনার্থী রহিম, কবিরুল ইসলাম, মন্টু, সাব্বিরসহ কয়েক জন বলেন, ষাটগম্বুজে আসলাম। নামাজ আদায় করলাম। মসজিদের নির্মাণ শৈলি দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি। ৬০০ বছর আগে মানুষের দক্ষতার বিষয়টি চিন্তা করলে অবাক হতে হয়। তবে ষাটগম্বুজ এলাকা ও তার আশপাশে দূরের দর্শনার্থীদের জন্য থাকা খাওয়ার জন্য ভালো ব্যবস্থা থাকলে ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীরা এসে আরো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।

বাগেরহাটে আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন বাগেরহাট ট্যুরিস্ট পুলিশ। বাগেরহাট ট্যুরিস্ট পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক দর্শনার্থীদের দায়িত্বে থাকা ট্যুরিস্ট পুলিশ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা ও দর্শনার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা দায়িত্ব পালন করছি। বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থানগুলো অন্যান্য জায়গার থেকে নিরাপদ। এখানে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমাদের ফোন নম্বর দেয়া রয়েছে। কেউ যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন মনে করে তাহলে আমাদেরকে ফোন করে জানাতে পারবেন।

বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বলেন, শীত আসার পর থেকে আমাদের এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সরকারি রাজস্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো নভেম্বর মাসে ২৬ হাজার দর্শনার্থী ষাটগম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ করেন। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh