পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:০৫ পিএম
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ২ নং শালডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রে টাকা ছাড়া সেবা না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেবাগ্রহীতারা সেবা নিতে গেলে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অশোক শর্মা। যদিও এই দায়িত্বে থাকার কথা ইউডিসি উদ্যোক্তা প্রদীপ কুমার বর্মণের।
গত ২৬ নভেম্বর ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দেন ওই ইউনিয়নের মিনহাজ আলী, নাজিম উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন, সোলায়মান হোসেন ও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, টাকার বিনিময়ে অশোক শর্মা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বয়স বেশি দেখিয়ে জন্ম সনদ দিচ্ছেন। এতে ওই এলাকায় সম্প্রতি বাল্যবিয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে। অভিযোগকারী নাজিম উদ্দিনের কাছে জন্মসনদ সংশোধনের জন্য একহাজার টাকা দাবি করেন আশোক শর্মা, তবে সময় চান ছয় মাস। সেই সময় অশোককে ৬০০ টাকা দিলেও এক বছর পরেও পাননি জন্মসনদ। মিনহাজ আলী নিজের জন্মসনদ নিতে গেলে বিভিন্ন ভুলের অজুহাতে তিন হাজার টাকা দাবি করেন অশোক শর্মা।
মনোয়ার হোসেন বলেন, তার জন্ম সনদ সংশোধনে ২ হাজার ৬০০ টাকা দাবি করলে ১ হাজার টাকা প্রদান করে দুই বছরেও পাননি জন্মসনদ। ১২০০ টাকার জন্য জন্মসনদ নিতে না পারায় চাকরিতে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অশোক শর্মা জানান, আমার সাথে উল্লেখিত বিষয়ে কারো কোনো লেনদেন হয়নি। অভিযোগটি বানোয়াট।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রত্যয় হাসান লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তের দায়িত্ব শালডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে দেয়া হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে তদন্ত প্রতিবেদন ইউএনওকে হস্তান্তর করা হবে।