টেকসই জ্বালানিতে অগ্রগতি অর্জনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:১২ এএম

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যথেষ্ঠ বিদ্যুৎ সুবিধার ঘাটতি রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া ও তাঞ্জানিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ টেকসই জ্বালানি নীতি গ্রহণে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে।

জ্বালানি নীতি বিষয়ে বৈশ্বিক অগ্রগতি সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংকের একটি নতুন প্রতিবেদন আরআইএসই-২০২০ অনুসারে, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে টেকসই জ্বালানি নীতিতে অগ্রগতি হয়েছে। তবে সবচেয়ে দ্রুত উন্নতি হয়েছে সাব-সাহারা আফ্রিকাতে।

বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতীতের তুলনায় সার্বিকভাবে বৈশ্বিক নীতিগত অগ্রগতি অপেক্ষাকৃত ধীর, বিশেষত নবায়নযোগ্য শক্তি ও জ্বালানি দক্ষতার ক্ষেত্রে।

টেকসই জ্বালানি সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সূচক (আরআইএসই) ২০২০ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ৭) অর্জনের চারটি লক্ষ্য যেমন- নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বিদ্যুতের ব্যবহার করা সুযোগ ও দূষণমুক্ত রান্নার সুবিধার বিষয়ে ১৩৮টি দেশে নীতিগত অগ্রগতি বিবেচনা করেছে। এই চারটি লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানি সুবিধা অর্জনের প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মখতার দিওপ বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস আঘাত হানার আগে আমাদের যে অগ্রগতি হয়েছিল তা অব্যাহত রাখতে হবে। মহামানি-পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও কম কার্বন নিঃসরণের বিষয়ে নীতি নির্ধারকদেরকে টেকসই জ্বালানি নীতি গ্রহণ ও জ্বালানি সর্বজনীন সুবিধা লাভের গতি ত্বরান্বিত করতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাগুলোতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল নির্ধারণ ও পরবর্তী দশকে এসডিজি ৭ টার্গেটের সাথে জ্বালানি নীতিগুলোর সমন্বয় করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নীতিগত অগ্রগতি ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও দূষণমুক্ত রান্নার সুবিধা লাভের সুযোগ ত্বরান্বিত করেছে। মিনি গ্রিড ও স্ট্যান্ড এলোন পাওয়ার সিস্টেম গ্রিডের তুলনায় বিদ্যুৎ সুবিধার জন্য জ্বালানি বিতরণে অভিযোজন বৃদ্ধি পেয়েছে। ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া ও তাঞ্জানিয়াও ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও ইউটিলিটি ব্যবহারে স্বচ্ছতা সংক্রান্ত নীতিতে অগ্রগতি লাভ করেছে।

দূষণমুক্ত রান্না করার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালে সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোতে বিশেষত বেনিন, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও তাঞ্জানিয়াতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

২০১০ সাল থেকে এশিয়ায়- বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া ও নেপাল এবং লাতিন আমেরিকায় (গুয়াতেমালা) নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিগুলো দ্রুত অগ্রগতি লাভের এক দশক পরে উচ্চ-মধ্যম ও নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

আরআইএসই-র আওতাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে, ২০১০ সালে মাত্র ৩৭ শতাংশ দেশে জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য আইনী কাঠামো প্রণয়ন করেছে বা প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য উন্নত নীতি কাঠামো ছিল। এগুলোকে প্রতিবেদনে ‘গ্রিন জোন’ হিসেবে ও উন্নতির প্রস্তাব করে ৪৪ শতাংশ দেশকে ‘হলুদ অঞ্চল’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

২০১৯ সালের মধ্যে আরআইএসই’র প্রায় ৭০ শতাংশ দেশ জ্বালানি দক্ষতা পরিকল্পনা তৈরি করেছে। সমীক্ষাভুক্ত দেশগুলোর প্রায় ৭৫ শতাংশ ন্যূনতম এইচভিএসি জ্বালানি দক্ষতার মান সংক্রান্ত নীতি গ্রহণ করেছে। -বাসস

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh