নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৪ পিএম
ফাইল ছবি
এবার নতুন পাঠ্যবই নেয়ার সময় আগের বছরের পুরোনো বই বিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। কারণ পুরানো বইও পড়ানো হবে শিক্ষার্থীদের। আগের বছরের কিছু বিষয় নতুন সিলেবাসে যুক্ত করা হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিগত ৯ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কবে খুলবে তাও এখনো জানা যায়নি। আর চলতি বছরের সিলেবাস অসমাপ্ত রেখেই পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। এ কারণেই পুরানো বইও পড়ানো হবে শিক্ষার্থীদের।
এজন্য আগের বছরের সিলেবাস যুক্ত করে আগামী বছরের নতুন সিলেবাস তৈরি করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের সিলেবাসের সাথে তা রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগের বছরের শিখনফল অর্জনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে সেই আদলে সিলেবাস তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নতুন বছরের তিন থেকে চার মাস আলাদাভাবে বা নতুন বছরের পাঠ্যক্রমের সাথে পুরনো বইয়ের কিছু অধ্যায় যুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ না করে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হলেও আগের সিলেবাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় পড়ানো হবে।
তিনি বলেন, আগের বছরের সিলেবাস যুক্ত করে আগামী বছরের নতুন সিলেবাস তৈরি করতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কারণে সবস্তরের শিক্ষার্থীদের নতুন বছরের বই নেয়ার সময় পুরনো বই জমা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মাঠ কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের তা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দিবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, আগের বছরের শিখনফল অর্জন করাতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেবাসেও আগের বছরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায়ের যুক্ত করা হবে। এজন্য নতুন বছরের নতুন বই নেয়ার আগে আগের বছরের পুরোনো বই জমা রাখা হবে। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিতে মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।