স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সবরকম প্রস্তুতি নেবো: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৪ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেন সব ধরনের উদ্যোগ ও প্রশিক্ষণ থাকে। সেভাবে আমরা আমাদের প্রতিটি বাহিনীকে গড়ে তুলছি।

তিনি বলেন, আমাদের সব সময় লক্ষ্য, আমাদের দেশটা স্বাধীন দেশ। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো। আমরা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার সবরকম প্রস্তুতি নেবো। কিন্তু কারো সাথে যুদ্ধ নয়, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়- এই পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই আমরা চলবো।

আজ বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শীতকালীন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

আগামীতে নিজস্ব শিপইয়ার্ডে যুদ্ধজাহাজ তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো নিজস্ব শিপইয়ার্ডে আমরা আমাদের যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করবো। যার কাজ ইতোমধ্যে আমরা কিছু কিছু শুরুও করেছি। 

তিনি বলেন, আমরা সরকারে আসার পর খুলনা শিপইয়ার্ড সেটা নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। আমাদের ডকইয়ার্ড চট্টগ্রামে ও নারায়ণগঞ্জে, সেটাও আমরা নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিই। লক্ষ্য হলো নিজস্ব শিপইয়ার্ডে আমরা আমাদের যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করবো। তাছাড়া কক্সবাজারের পেকুয়াতে আমরা সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করছি।

শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নৌবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করতে ইতিমধ্যে নৌবাহিনীতে মোট ২৭টি যুদ্ধ জাহাজ সংযোজন করেছি। ২০১৭ সালে আমরা নৌবহরে দুইটি অত্যাধুনিক সাবমেরিন সংযোজন করি। ফলে আমরা বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছি।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘যে জাতি নিজেকে সম্মান করতে পারে না, আত্মমর্যাদা রক্ষা করতে পারে না, সে জাতি দুনিয়ায় কখনো বড় হতে পারে না, সেজন্য আমরা আত্মমর্যাদা বিশিষ্ট জাতি হিসেবে বাস করতে চাই।’ আমরা অন্য কারও ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না, অন্য কেউ আমাদের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক তাও আমরা চাই না। আমরা এই নীতিতে বিশ্বাসী।

নবীন অফিসারদের জাতির পিতার নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির পিতার এই নির্দেশটা সব সময় মেনে চলতে হবে। আমাদের নবীন অফিসার তোমরা জাতির পিতার আদর্শ মেনে চলবে। তিনি জাতির জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন।

সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, আমাদের যে বিশাল সমুদ্র রাশি তার সম্পদটা যেন আমরা আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নারী নৌ অফিসারদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নৌবাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের কোনো স্থান ছিল না। আমরা ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে মেয়েরা যেন অংশগ্রহণ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করি।

প্রাকৃতিক দুযোর্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রয়োজনে নৌবাহিনী সদস্যদের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh