ভৈরব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:৫২ পিএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:৫৬ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এহসানুল হক নামে এক কয়লা শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে শহরের চন্ডিবের খাঁ বাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৪৮ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনার মুলহোতা এবং শহরের চিহ্নিত ছিনতাইকারী ইমনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। ইমন পৌর শহরের ভৈরবপুর মধ্যপাড়ার আড়াই বেপারীর বাড়ির মৃত মাসুদ মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন।
জানা গেছে, শহরের দুর্জয় মোড়ের পূর্ব পাশে গত সোমবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এহসানুল হক নামে এক কয়লা শ্রমিক ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত শ্রমিক সুনামগঞ্জের বিশম্ভপুর উপজেলার বাঘগাঁও গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে।
বিয়ের মাত্র দুই মাস পর নিহত এহসানুল তার এক চাচাসহ তারা দু’জন গত দু’সপ্তাহ আগে ভৈরবে কাজের সন্ধানে এসে ছিলেন। পরে কয়েক দিন শ্রমিকের কাজ করে কিছু টাকা জমান। পরে জমানো টাকা নিয়ে গত সোমবার রাতে তারা দুর্জয় মোড় থেকে বাড়ি যাবার সময় বাসে উঠার আগে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। একই সাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এহসানুল গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে উত্তেজিত শত শত কয়লা শ্রমিকরা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ফেরিঘাট থেকে মিছিল নিয়ে শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড় প্রদক্ষিণ করে ভৈরব থানায় প্রবেশ করে। পরে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার আশ্বাস দিলে তারা ফিরে যায় এবং কাজে যোগ দেয়। এছাড়াও এদিন (মঙ্গলবার) রাতেই নিহতের চাচা আজিজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দু’জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুঠোফোনে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহিন জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মাঠে নামে এবং প্রকৃত অপরাধীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।