ক্যামেরায় মোটা লাগায় কাজ হারান কারিনাও

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ১০:১৮ এএম | আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১, ০৬:০৮ পিএম

করিনা কাপুর খান

করিনা কাপুর খান

স্টার-কিডদের জন্য সিনেমায় অভিনয়ের প্রথম দরজাটা খুলে যায় ঠিকই। কিন্তু তারপরে সেই দরজাটা খুলে রাখাটা তেমনটাই কঠিন, যতটা ইন্ডাস্ট্রির বাইরের মানুষের জন্য চ্যালেঞ্জিং। 

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ নিয়ে স্পষ্ট কথা বললেন।

বলিউডে এমন অনেক তারকা রয়েছেন, যাদের ছেলেমেয়েরা বড় পর্দায় খুব সহজে পা রেখেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। থমকে যেতে হয়েছে তাদের। কারিনা মনে করালেন তাদের কথা।

কাপুর পরিবারের মেয়ে বলে তার বলিযাত্রা যে খুব মসৃণ ছিল, তা নয়। প্রায় ২১ বছর আগে ছবিতে অভিনয় শুরু করেন তিনি। প্রথম ছবি জেপি দত্তর ‘রিফিউজি’। সেই ছবি কেবল তার ডেবিউ নয়। অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনও সেই ছবি দিয়েই বলিউডে পা রাখেন। অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল কারিনার। কিন্তু কথাবার্তা হতো, ক্যামেরার সামনে অভিনয় ভাল। কিন্তু দেখতে তো মোটা লাগছে। গ্ল্যামারাস চরিত্রে কি আদৌ মানাবে? তার চেহারা নিয়ে একাধিক কথা তাকে শুনতে হয়েছে।  


‘চামেলি’ ছবির কাস্টিংয়ের সময়ে দোনামোনা করা হয়েছিল কারিনাকে নিয়ে। ও রকম গ্ল্যামারাস চরিত্রে তাকে নওয়া নিয়ে নাক সিঁটকিয়েছিলেন অনেকেই। তারপর রাহুল বসু ও কারিনা অভিনীত ছবিটি খুবই প্রশংসা পেয়েছিল সমালোচকদের কাছ থেকে। বিশেষ করে করিনাকে দেখে স্তম্ভিত হয়েছিলেন তারা। 

কারিনা জানালেন, কিন্তু শেষে ছবিটার পরিণতি কী হয়েছিল, এখন সেটা সবাই জানে। একই ঘটনা ঘটেছিল ‘ওমকারা’ দেখার পর। তিনি বলেন, সেই ছবিতে দুর্দান্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছিলেন। সেখানে আমার অভিনয় নিয়েও কথা বলা হয়েছিল। সেটাই আমার বড় পাওনা। আমি তো অভিনয় করতে এসেছিলাম। অন্য কিছু না।  

তারপর যখন তিনি ধীরে ধীরে প্রথম সারির দিকে এগোচ্ছেন, তখন পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যায় পড়লেন। বহু ক্ষেত্রে ইন্ডাস্ট্রির পুরুষতন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। নায়কের সমান সমান টাকা দেয়া হত না তাকে।

কারিনা বলেন, আমি মনে করি, আমি যে পারিশ্রমিকের যোগ্য সেটাই চাই। কিন্তু একাধিক বার টাকার অংকের জন্য আমাকে ছবি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তফাৎ একটাই, এগুলো কেউ জানতে পারে না।

আজ কারিনা নিজের যোগ্যতায় বলি নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের অধিকারী। ২১ বছরের লড়াইয়ের সামান্য ঝলক দিলেন এই সাক্ষাৎকারে। -আনন্দবাজার পত্রিকা    

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh