ফেসবুকের কল্যাণে ১৭ বছর পর মা-বাবাকে খুঁজে পেলেন তানিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:৩০ এএম

ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

১৭ বছর আগে ঢাকায় হারিয়ে যান তানিয়া আক্তার। পরিবারের সদস্যরা তাকে কোথাও খুঁজে পাননি। মেয়েকে হারিয়ে যন্ত্রণাময় দিন কাটছিল বাবা সুন্দর আলী ও তানিয়ার পরিবারের।

অবশেষে সন্ধান মিলেছে তানিয়ার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে গতকাল রবিবার (১০ জানুয়ারি) পরিবার ফিরে পেয়েছে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার এই তরুণী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর এলাকায় বসবাস করা মেয়ে তানিয়াকে নিতে আসেন বাবা সুন্দর আলীসহ পরিবারের সদস্যরা।

সুন্দর আলী জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে তানিয়াকে নিয়ে রাজধানী ঢাকায় আমার এক নিকটতম আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যায়। তখন তানিয়ার বয়স ছিল ৬ বছর। তানিয়াকে ঢাকায় রেখে গ্রামের বাড়ি চলে যান সুন্দর আলী। পরে জানতে পারেন, বাবার পিছু পিছু তানিয়াও সেদিন বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তানিয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি ছাপানো হয়। তারপরেও সন্ধান পাওয়া যায়নি তানিয়ার। কিছুদিন আগে ফেসবুকে তানিয়ার ছবিসহ হারিয়ে যাওয়ার সংবাদ দেখে তানিয়ার খোঁজ পায় তার পরিবার।

তানিয়ার বাবা সুন্দর আলী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার রাইতলা গ্রামের রিপন মিয়া আমার মেয়েকে লালন-পালন করেছেন ও ভালো পাত্র দেখে বিয়েও দিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

তানিয়া বলেন, আমি আমার পরিবারকে হারিয়ে ফেলার পর বাবা রিপন মিয়া আমাকে লালন-পালন করেছেন। খুব আদর যত্ন তারা করতেন। আমি আমার পরিবারকে খুঁজে পেতে অনেক চেষ্টা করেও পাইনি। এখন পরিবারকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত।

১৭ বছর পর নিজেদের তানিয়ার সাথে মা-বাবার দেখাদেখি হলে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। জড়ো হন এলাকার লোকজন। দিনভর অতীত স্মৃতি নিয়ে কথা বলেন পরিবারের লোকজন।

তানিয়ার স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার শান্তিনগরের আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, রিপন মিয়া নামে ওই ব্যক্তি তার পূর্ব পরিচিত। সব কিছু জেনে শুনেই তিনি তানিয়াকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে এখন এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তানিয়া প্রায়ই মা-বাবাকে হারানোর কথা বলতো। এই অবস্থায় তিনি ও এক বন্ধু তানিয়ার ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেই সূত্র ধরেই বিষয়টি জানতে পেরে তানিয়ার মা-বাবা শনিবার রাতে আখাউড়ায় ছুটে আসেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh