লিজ নেয়া জমি সাব-লিজ দেয়া যাবে না

লিজ নেয়া জমি সাব-লিজ দেয়া যাবে না কিংবা জমির শ্রেণি/আকার/প্রকার কোনোরূপ পরিবর্তন করা যাবে না মর্মে অনুচ্ছেদ যুক্ত করে অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনঃনির্ধারণ বিষয়ক পরিপত্রের কিছু সংশোধন করে আরেকটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

ভূমি মন্ত্রণালয় জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে জারি করা ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনঃনির্ধারণ’ বিষয়ক পরিপত্রের কতিপয় সংশোধন করে জনস্বার্থে গত ৬ জানুয়ারি আরেকটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

লিজ-গ্রহিতা এবং জেলা প্রশাসকদের মতামতের ভিত্তিতে সালামির অর্থ আদায়যোগ্য এবং জনবান্ধব করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়।

জারি করা সংশোধিত পরিপত্রে ২০১৯ সালে জারি করা পরিপত্রে উল্লিখিত অনুচ্ছেদ-৫ প্রতিস্থাপনের কথাও বলা হয়েছে। প্রতিস্থাপিত সংশোধিত অনুচ্ছেদটি হচ্ছে, ‘অস্থায়ীভাবে ইজারা দেয়া প্রত্যর্পণযোগ্য অর্পিত সম্পত্তির মেরামতের ক্ষেত্রে ইজারা গ্রহিতা জেলা প্রশাসক/উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে অবকাঠামোর কোনোরূপ পরিবর্তন না করে অথবা কোনো নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করে নিজ ব্যয়ে বর্তমান স্থাপনার প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করতে পারবেন। তবে, মেরামত বাবদ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বার্ষিক ইজারার টাকার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।’

একই সাথে আগের পরিপত্রের সাথে দুইটি নতুন অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে সংশোধনীতে। অনুচ্ছেদগুলো হলো- ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত পরিপত্র মোতাবেক চালু করা অর্পিত বাড়ি-ঘরের সালামি বর্গফুট নির্ধারণের হার বহাল থাকবে। তবে, বাড়ি-ঘরের অবস্থা ও অবস্থান বিবেচনা করে নির্ধারিত ভাড়ার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কম-বেশি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতা, ব্যাখ্যাসহ সুপারিশ বিভাগীয় কমিশনার অনুমোদিত হতে হবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।

এছাড়া খালি জমি ইজারা নিয়ে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে নিজ খরচে ঘর ওঠালে সেক্ষেত্রে উক্ত খালি জমির নির্ধারিত ইজারামূল্যের সাথে অবকাঠামোর জন্য নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত হিসেবে আরো ২০ শতাংশ ইজারা গ্রহিতার পরিশোধ করতে হবে। সংশোধনীতে ২০১৯ সালে জারি করা পরিপত্রের অনুচ্ছেদ ৬, ৭ এবং ৮ যথারীতি বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে।