প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ

জামালপুরে প্রেমে রাজি না হওয়ায় জান্নাতুল মাওয়া তানজিয়া (১৭) নামে এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ১০দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে অপহৃতাকে উদ্ধার বা অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এদিকে অপহরণকারীরা তাকে পাশবিক নির্যাতন, গুম বা হত্যা করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অপহৃতার পরিবার।

মামলা ও পারিবারিক সূত্র জানায়, জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের জোয়ানেরপাড়া গ্রামের এখলাছুর রহমান তালুকদারের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া তানজিয়া দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। একই ইউনিয়নের গান্দাইল এলাকার সফির উদ্দিনের বখাটে ছেলে সাঈদ হাসান সিয়াম (২০) দীর্ঘদিন ধরে তানজিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো।

তানজিয়া তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে রাজি না হওয়ায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে সিয়াম। তাকে জোরপূর্বক বিয়ের করতে চায় সে। এ প্রস্তাব না মানলে তার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বখাটে সিয়ামকে উত্যক্ত না করতে সতর্কও করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হাওয়ায় গত ৩ জানুয়ারি সকালে সিয়াম ও তার লোকজন তানজিয়াকে জোরপূর্বক নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে সিএনজিতে তোলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় অপহরণকারী সিয়াম ও তার মা জেসমিন আক্তারসহ ছয়জনকে আসামি করে গত ৫ জানুয়ারি জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন অপহৃতা তানজিয়ার বাবা এখলাছুর রহমান তালুকদার। কিন্তু অপহরণের দশ দিনেও পুলিশ অপহৃতা তানজিয়াকে উদ্ধার করতে পারেনি। 

তানজিনার বাবার অভিযোগ, অপহরণের দশ দিনেও পুলিশ তার মেয়ে তানজিয়াকে উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশের রহস্যজনক নিরবতার কারণে অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত তিনজন আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নারায়ণপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম বলেন, মামলাটির তিনজন আসামি আদালত থেকে জামিন পেয়েছে। প্রধান আসামি সিয়ামসহ তিনজন আসামিকে গ্রেফতার ও অপহৃতা তানজিয়াকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।