নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২১, ০৭:৫৭ পিএম
ছবি: ইউএনবি
বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলান বলেছেন, যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন তাদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবেই বিবেচনা করছেন তারা।
তিনি জানান, প্রক্রিয়াটি যাচাই বাছাই করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকা হয়ে রিয়াদ কিংবা দাম্মাম হয়ে সৌদি আরবে পৌঁছেছে। কাজেই তারা বাংলাদেশি।
একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি অনেক পুরানো ও পাসপোর্টগুলো নবায়নের সময় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আজ রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রায় ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সৌদি আরবে গিয়েছে। তবে নিপীড়িত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি করা ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উদ্যোগে সহায়তার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে ও আশাবাদী যে সৌদি সরকার বাংলাদেশকে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখবে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটা আজকের না। ৫০-৬০ বছর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল। সৌদি আরবও এ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমানে সৌদির একটি শহরে রোহিঙ্গারা একটা ক্যাম্প করে থাকছে।
তিনি বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে তারা সবাই রোহিঙ্গা, মিয়ানমারের অধিবাসী। আমরা সব সময় বলে আসছি যারা রোহিঙ্গা তারা বাংলাদেশি নাগরিক নন। আর যদি আমরা কাউকে পাসপোর্ট দিয়ে থাকি সে পাসপোর্ট নবায়ন অবশ্যই করব। কিন্তু মিয়ানমারের অধিবাসী যারা, তারা মিয়ানমারের নাগরিক, তারা বাংলাদেশের নাগরিক নন।
সৌদি রাষ্ট্রদূত জানান, ঘরোয়া ব্যস্ততার কারণে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সফর স্থগিত করা হয়েছে ও শিগগিরই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আগামী মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করবে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসেই এই সংকটের একমাত্র সমাধান বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
মিয়ানমার সরকারের প্রতি রোহিঙ্গাদের আস্থার অভাবের কারণে ২০১৮ সালের নভেম্বরে ও ২০১৯ সালের আগস্টে দুবার প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।