গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:০২ পিএম | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২১, ১০:২৯ পিএম
কারাগারে আটক বন্দিদের সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে করোনাকালীন সময়ে কয়েদিদের সাথে সাক্ষাৎ বন্ধের নির্দেশ দেন কারা কর্তৃপক্ষ। এই আদেশ অমান্য করে হলমার্ক কেলেঙ্কারির সাজাপ্রাপ্ত বন্দি তুষারের সাথে কাশিমপুর কারাগারের ভেতরে সাক্ষাৎ করেছেন এক নারীসহ তিনজন। কারাগারের ভেতরে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার পর ওই কারাগার থেকে জেল সুপার রত্না রায় বেরিয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাক্ষাতের বিষয়টির সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ আটককৃত হলমার্ক কেলেঙ্কারির হোতা তুষারের সাথে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১২টা ৫৬ মিনিটে ওই নারী কারাগারে প্রবেশ করার পর ১টা ৪ মিনিটে তুষার তার সাথে সাক্ষাৎ করতে একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে ওই নারীকে নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় কাটান। তবে এ ঘটনায় কারাগারের জেল সুপারের সাথে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে সাক্ষাতের বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম।
এছাড়া ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন-গাজীপুর জেলার কার্যকরী সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, করোনাকালীন সময়ে যেখানে সাক্ষাৎ বন্ধ, সেখানে নারী নিয়ে সময় কাটানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটা কর্তৃপক্ষের সম্মতি ছাড়া সম্ভব নয়। আইন অমান্য করে সাক্ষাতের বিষয়টি স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।