লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৯:১৮ এএম
স্তন ক্যান্সার এক ঘাতক ব্যাধি। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগী ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যারা একটু দেরি করে ফেলেন, তাদের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। পুরুষের চেয়ে নারীরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। তবে নারীরা তাদের এই রোগের কথা কাউকে বলতে চান না। ফলে তারা স্তন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
দেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আর মারা যান আট হাজারের মতো। আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
এই রোগের উপসর্গ
স্তনে চাকা দেখা দেওয়া, স্তনের চামড়ার রঙ পরিবর্তন হওয়া, চামড়া মোটা হওয়া, নিপল বা স্তনের বোঁটা ভেতরে দেবে যাওয়া এবং নিপল দিয়ে রক্ত বা পুঁজ পড়া।
কী করবেন
এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া সুশৃঙ্খল জীবনযাত্রা এবং জীবনে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এলে (যা ক্যান্সার রোগের কারণ) এ রোগের প্রকোপ অনেকাংশেই কমে আসবে।
এই ক্যান্সারের এতো প্রকোপ কেন?
এটির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। প্রান্তিক অঞ্চল তো বটেই, এমনকি শহুরে এলাকাতেও অনেক সময় মেয়েদের নানা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হয়। এ ছাড়াও দেরিতে সন্তান গ্রহন, সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো, প্রানিজ আমিষ ও প্রাস্তুরিত খাদ্য বেশি খাওয়া এবং পরিবারে স্তন ক্যান্সারের কেউ খাকলে, এ রোগের প্রকোপ দেখা যায়।
এই ক্যান্সার থেকে রক্ষা পেতে বছরজুরে নানা প্রচার অভিযান সত্ত্বেও এই রোগ কমছে না। এ অবস্থা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চিকিৎসকের পরার্মশের পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে। আর তা না হলে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুঝুঁকি থেকেই যাবে।