নদ-নদীতে পানি নেই, প্রভাব পড়ছে জীব-বৈচিত্র্যে

ফয়সাল শামীম

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:৩৩ পিএম

ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী প্রায় পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। শুকিয়ে গেছে শাখা নদীগুলোও। নদীর তলদেশ এখন কৃষিজমি। চাষাবাদ হচ্ছে ধান, গম, ভুট্টা, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। পর্যাপ্ত পানি না থাকায় হুমকীর মুখে পড়েছে জলজ প্রানীসহ জীব-বৈচিত্র্য।

জলবায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনের প্রভাবে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের খরস্রোতা নদীগুলো এখন মৃতপ্রায়। মূল নদীতে পানি প্রবাহ না থাকায় শাখা নদীগুলো শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদী ও জলাশয়ে পানি না থাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। এ অবস্থায় সেচসহ নানা কাজে নদীর পানির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ভূ-গর্ভস্থ পানি। ফলে এ অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে অনেক নিচে। এর প্রভাব পড়ছে উদ্ভিদ জগতেও।

নদী ও জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় জলজ প্রাণীরা পড়েছে খাদ্য সংকটে। এ অবস্থায় প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষাকারী অনেক প্রজাতির প্রাণী এখন বিলুপ্ত প্রায়। নদীর নাব্য সংকটে জীবিকা হারাচ্ছে মৎস্যজীবীরাও। নদীর বুকে জেগে ওঠা ছোট-বড় অসংখ্য চরে ফসল ফলাতে নদীর পানির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ভূ-গর্ভস্থ পানি।
 
নদী পাড়ের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে পানির প্রবাহিত হলেও শুকনো মৌসুমে পানি অভাবে নানা সমস্যায় পড়ছেন নদী পাড়ের মানুষ।

নদী পাড়ের কৃষক আলম মিয়া জানান, ধীরে ধীরে নদী মৃতপ্রায় হয়ে যাচ্ছে। যে নদীতে প্রচুর পানি ছিল সেই ধরলা নদীতে এখন পানি নেই। ধরলা নদীর নিচে এখন ধানচাষ হচ্ছে।

দুধকুমর নদী তীরর্বর্তী বাসিন্দা একরামুল হক রিপন বলেন, দুধকুমার নদীতে আর আগের মতো পানি নেই। যে দিকে দু’চোখ যায় খালি ধু-ধু বালুচর।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মির্জা নাসির উদ্দিন বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ বাঁচাতে নদ-নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনাসহ জলাশয়গুলো রক্ষা অতি জরুরি।

এই প্রতিকূল অবস্থা কাটাতে নদীসহ জলাশয়গুলোকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো। রক্ষা পাবে নদী ও জলাশয়। ভারসাম্য ফিরে আসবে প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্যে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh