ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৪৩ এএম | আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:২৮ পিএম
ফেসবুকের পর এবার টুইটার ও ইনস্টাগ্রামও ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ।
দেশটির প্রধান ইন্টারনেট সেবাদাতাদের মধ্যে অন্যতম টেলিনর নিশ্চিত করেছে, তাদেরকে ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত’ গ্রাহকদেরকে ওই দুই সাইটে ঢোকা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ফেসবুক ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভ্যুত্থানের নেতারা।
মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের আটক করার কারণে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিক্ষোভ ক্রমেই দানা বাঁধছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা গতকাল শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ইয়াঙ্গুনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় ও অং সাং সুচির পক্ষে শ্লোগান দেয়। তারা লাল রঙের রিবন পরে বিক্ষোভে অংশ নেয়। লাল রং দেশটির নেত্রী সুচির দলের রং।
গত সোমবার দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান হলে সুচি ও অন্য নেতাদের আটক করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে কয়েকশ ছাত্র-শিক্ষক জড়ো হয় দাগন ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে। তারা তিন আঙ্গুলের স্যালুট প্রদর্শন করছিল- এই স্যালুট এই এলাকার বিক্ষোভকারীরা রপ্ত করেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে। তারা সুচি পক্ষে স্লোগান দেয় ও লাল পতাকা উড়ায়।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে মিন সিথু নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা আমাদের প্রজন্মকে এই ধরণের সেনাবাহিনীর একনায়কতন্ত্রের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে দিতে পারি না।
পয়লা ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থান বহু মানুষ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার দেখেছে। ফেসবুকে মিয়ানমারে তথ্য ও সংবাদের প্রাথমিক উৎস। কিন্তু তিনদিন পর ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নির্দেশ দেয়া হয় এই সামাজিক মাধ্যমটিকে ব্লক করার।
ওই নিষেধাজ্ঞার পর হাজার হাজার ব্যবহারকারী টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে সরব হয়। তারা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধাচারণ করে হ্যাশট্যাগ চালু করে।
পরে শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ আর কেউ এ দুটি প্লাটফর্মেও ঢুকতে পারছিল না। তবে এ নিয়ে অভ্যুত্থানের নেতাদের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য ছিল না।
কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মন্ত্রণালয়ের একটি দলিল তারা দেখেছে- যেখানে বলা হয়েছে এই সামাজিক মাধ্যম দুটোকে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ছড়িয়ে দিতে’। এই দলিলটি অবশ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এই সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে, নরওয়েভিত্তিক টেলিকম প্রতিষ্ঠান টেলিনর। টুইটারের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মানুষের কথা বলার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
ফেসবুক মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, মানুষের সংযোগ পুনঃস্থাপন করতে, যাতে তারা পরিবার ও বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারে।
ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকেরই অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান। -বিবিসি