বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:০৯ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলেছি। তবে বীরশ্রেষ্ঠ ও বীরউত্তম ছাড়া, তাদের বিষয়টি ভিন্ন।

তিনি বলেন, একইভাবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতাও এমন সমান একটা অঙ্কে ঠিক করে দেয়া হবে। এটি মন্ত্রণালয় ও জামুকা মিলে করবে।

আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অনেকের ঘরবাড়ি নেই। তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। যাদের ত্যাগে দেশ পেলাম, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরবাড়ি থাকবে না, আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা হতে পারে না।

এসময় বিত্তবানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন না করলে বিত্তশালী হতে পারতেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো রাখার জন্য অন্তত আপনারা তাদের পাশে দাঁড়ান। আমিও সরকারিভাবে আমার করণীয় যেটা করছি, করবো। আজকে আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে সারাবিশ্বে সম্মান অর্জন করেছি। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। এজন্য আমাদের অনেক নেতাকর্মীর জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে৷ আমি তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

তিনি আরো বলেন, ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয়ার উদ্যোগ নিই। তাদের সম্মানী ভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। তাদের সন্তানদের চাকরি নিশ্চিত করেছি। এখন ভাতা যাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজে পান সে ব্যবস্থাও নিয়েছি। আজকে এটির উদ্বোধন হচ্ছে।

১৫ ফেব্রুয়ারিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের এদিন সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোট করেন খালেদা জিয়া। দুই শতাংশ ভোটও পড়ে না, কিন্তু তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বসেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যদিও গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভোট দিতে বাধ্য হন তিনি। 

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করা হয়। দেশের মানুষের আকাঙ্খা অপূর্ণ থেকে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়।

এসময় কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সাথে কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh