রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০১:৫৭ পিএম
ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছাড়ি ও বান্দরবান- এই তিন পার্বত্য জেলায় একযোগে কৃমিনাশক বড়ি সেবন ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলার ১২১টি ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত ৪৫০০ পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে একযোগে ১০ লক্ষাধিক উপকারভোগীকে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হয়।
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রাাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রকল্প কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করে। প্রকল্পের আওতাধীন পাড়াকর্মীদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার ৫ বছরের বেশি শিশু, কিশোর ও নারী-পুরুষকে ক্যাম্পেইনের আওতায় কৃমিনাশক বড়ি প্রদান করা হয়।
গতকাল সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জুম সংযোগের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জনসংখ্যা পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য সবীর কুমার চাকমা, কাউখালী উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা চৌধুরী।
উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ এয়াছিনুল হকের সঞ্চালনায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। কর্মসূচির উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয়তা ও কৃমিনাশক বড়ি সেবনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন ইউনিসেফের নিউট্রেশন অফিসার ড. উবাসুই চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কৃমির কারণে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠির এক ব্যাপক অংশ অপুষ্টির শিকার। বিশেষত শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা চক্রাকার অপুষ্টির আবর্তে থাকায় তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, রক্তশূন্যতা ও মেধাশূন্যতার আশঙ্কা বিদ্যমান। সুস্থ, সবল ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষে পিছিয়ে পড়া পার্বত্য অঞ্চলে এই বিশেষ কর্মসূচিটি গ্রহণ করা হয়েছে।