গর্ভবতী মা ও পরিবারের করণীয়

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৯:৫৯ এএম

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ রোগের সংক্রমণ, বিস্তার ঠেকাতে গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো মেনে চলতে হবে :

- গর্ভবতী মা প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হবেন না। একান্ত প্রয়োজন হলে লোক সমাগম বেশি এমন স্থান যেমন- মার্কেট, বাজার ইত্যাদি জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। 

- বাইরে থেকে ফেরার পর গর্ভবতীসহ বাড়ির সবাইকে বারবার সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে। 

- হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। টিস্যু, রুমাল অথবা কনুইয়ের ভাঁজে হাঁচি-কাশি দিতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে ও ব্যবহৃত রুমাল বা কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

- জ্বর, হাঁচি-কাশিতে ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবারের কেউ সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হলে গর্ভবতী মা তার সংস্পর্শে আসবেন না। হাঁচি-কাশির সাথে জ্বর থাকলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ও আলাদা থাকতে হবে।

- গর্ভবতী নারীকে তার চিকিৎসকের কাছে অনলাইন বা টেলিফোনে বাসা থেকেই চিকিৎসা নেয়া উচিত। জরুরি অবস্থা হলে তবেই হাসপাতালে যাবেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শে নির্দিষ্ট হাসপাতালে যাবেন।

- গর্ভবতী মা জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। একটু পর পর শরীরে জলপট্টি দিতে হবে। হাঁচি-কাশির জন্য এন্টি-হিস্টামিন দেয়া যেতে পারে। প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

- যদি গর্ভবতী মায়ের করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়ে থাকে, তবে আগে প্রসূতি ইউনিটকে অবহিত করতে হবে। যদি কোনো উপসর্গ না থাকে অথবা মৃদু উপসর্গ থাকে, তবে বাসায় থাকতে হবে। যদি তীব্র উপসর্গ দেখা যায়, তবে শুধু করোনার চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালে যেতে হবে। 

- আক্রান্ত কোনো গর্ভবতীর তীব্র মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, যোনি পথে রক্তপাত, পেটব্যথা, তীব্র জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বাচ্চা নড়াচড়া কমে গেলে দ্রুত করোনার চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালে যেতে হবে। 

- বাচ্চাকে হাত না ধুয়ে কেউ কোলে নেবেন না। বাচ্চাকে চুমু দেয়া যাবে না। নবজাতককে শুধু মা একাই যত্ন করলে ভালো হয়। 

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh