জামালপুরে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার টন সার

জাকারিয়া জাহাঙ্গীর

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:২৯ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার হাজার হাজার টন সার খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। ফলে রোদে পুড়ে ও কুয়াশায় ভিজে নষ্ট হচ্ছে সারগুলো। এদিকে বস্তা ফাঁটা ও নষ্ট-পচা সার ডিলারদের নিতে বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ডিলাররা সার গ্রহণ না করায় সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে চলতি মওসুমে কারখানার কমান্ড এরিয়ায় সার সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিসিআইসির তালিকাভুক্ত ডিলারদের যমুনা সার কারখানা থেকে প্রতি ট্রাকে ১২ মে. টন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কারখানার উৎপাদিত ১১ টন ও বাইরে (কাফকো) থেকে আমদানিকৃত এক টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক। আমদানিকৃত সারগুলো দীর্ঘদিন ধরে গুদামের বাইরে খোলা আকাশের নিচে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সারের বস্তা দীর্ঘ দিনের পুরনো, ছেঁড়া-ফাঁটা, জমাটবাঁধা, গলিত ও পচা থাকায় এসবের গুণগত মান নাই। তবুও এসব নিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে ডিলারদের অভিযোগ।

তারাকান্দি ট্রাক ও ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম মানিক জানান, আমদানিকৃত এক টন সার জমাটবাঁধা ও গলিত, যা কৃষকের কাছে বিক্রি অযোগ্য। প্রত্যেক ডিলারের গুদামে আমদানিকৃত সার আটকা পড়ে গেছে। ফলে প্রতি ট্রাকে ১৬ হাজার টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। ১৯ জেলার ডিলাররা সার উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার বিক্রয় বিভাগের ইনচার্জ ওয়ায়েছুর রহমান বলেন, কারখানায় বাইরে থেকে আমদানিকৃত ২১ হাজার টন ও যমুনার উৎপাদিত ৬২ হাজার টন সার বর্তমানে মজুদ রয়েছে; কিন্তু আমদানিকৃত সার নিম্নমানের বলে অভিযোগ করে ডিলাররা সার উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর একই কারণে ডিলাররা সার সরবরাহ বন্ধ করেছিলেন। পরে কর্তৃপক্ষ দাবি মানার আশ্বাস দিলে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন। পুনরায় কর্তৃপক্ষ একই কাজ করায় ফের ডিলাররা আন্দোলনে নেমেছেন বলে জানান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh