সাফওয়ানা জাবীন
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:৫৯ এএম
তারুণ্যের উৎসব যেমন ফাল্গুন তেমনি ফাল্গুনেই মাতৃভাষার জন্য লড়াই করে রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। আমাদের সংস্কৃতিতে একুশের চেতনা এতটাই গভীর যে, এই দিনে শুধু মায়ের মুখের ভাষাতেই নয়, আমরা যেন আপাদমস্তক নিজেকে সাজাতে চাই মাতৃভূমির রঙে-রূপে।
বিভিন্ন পোশাকের দোকান ও বুটিকগুলো একুশকে প্রতিপাদ্য করে তৈরি করছে নতুন নতুন নকশার সব পোশাক। এসব পোশাকে ব্যবহৃত রঙ, কাপড়, নকশা সবকিছুতেই থাকে ভাষা আন্দোলনের চির অমলিন চেতনা।
রঙ ও কাপড়
একুশের চেতনার সাথে মিলিয়ে পোশাকে সাদা-কালো রঙের প্রাধান্য থাকলেও এখন আর তা এই দুটি রঙের মধ্যে আটকে নেই। একুশ এখন সর্বজনীন। তাই রঙের ব্যবহারও সর্বজনীন। সাদা, কালো, লাল, সবুজ, হলুদ, নীল সব রঙেই সাজছে একুশের পোশাক।
কাপড়ের ক্ষেত্রে সুতির প্রাধান্য থাকলেও তাঁত, মসলিন, সিল্ক প্রভৃতির ব্যবহারও বাড়ছে।
নকশা ও পোশাকের ধরন
এ বছর একুশের পোশাকের নকশায় বর্ণমালা, ভাষা ও ভাষা শহীদদের পাশাপাশি দেশজ চেতনা ও ঐতিহ্যের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। পোশাকের মধ্যে নকশিকাঁথা ফোঁড়, ব্লক, স্প্রে-ব্লক, অ্যাপলিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিন, হ্যান্ডপেইন্ট, এমব্রয়ডারির কাজ চোখে পড়ার মতো।
ছেলেদের পোশাকে নানা রঙের টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, চাদর এবং মেয়েদের ফতুয়া, টপস, সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ি। শিশুদের জন্যও রয়েছে নানা আয়োজন। এসব পোশাকের জমিনে নানা রঙে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলা ভাষা ও আন্দোলনের ইতিহাস।
ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন
একুশের ভাবনার সঙ্গে মিল রেখে পোশাকে বর্ণমালার ব্যবহার ব্যাপক জনপ্রিয়। সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে একুশের গান, কবিতা, স্লোগান ও বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন পঙ্ক্তিমালা। যেখানে ফুটে উঠেছে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা গৌরবগাথা। এ ছাড়া শহীদ মিনার, মানচিত্র, পতাকাসহ একুশের বিভিন্ন চিত্রের নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছে এবারের পোশাকে।