এবার তালা ভেঙে হলে ঢুকলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:১১ পিএম | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০২:১৪ পিএম

এবার তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শহীদুল্লাহ্ হলের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা।  এসময় প্রশাসন কর্তৃক কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, ইতোমধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হল ও অমর একুশে হলের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হলে উঠতে আমাদের তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। হল গেইটের তালা আগেই খোলা ছিলো। আমরা শুধু বড় গেইটের তালা ছাড়া আটকানো শিকল খুলে ভেতরে প্রবেশ করি।

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। আমরা বাড়িতে থেকে বিরক্ত হয়ে গেছি। এখন জোর করে হলে উঠে গেছি। এখন হলেই অবস্থান করবো।

এদিকে, অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা হলের ভেতরে হল খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করছিলাম। মানববন্ধন শেষ করে রুমে উঠে যাই। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো বাধা পেতে হয়নি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা দেখছি কী করা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত। ইতোমধ্যে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করার জন্য সহকারী প্রক্টররা হলের দিকে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে প্রশাসনের হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তালা ভেঙে আবাসিক হলে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হলগুলোতে প্রাধ্যক্ষরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে হল ত্যাগের কথা বলছেন। তবে এ নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে এখনও হলে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া এলাকায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে স্থানীয়রা।

পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় ৪০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শনিবার দুপুরে হলের তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে হলেই অবস্থান করছেন জাবি শিক্ষার্থীরা।

এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও হল খোলার দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh