নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৫:৫৮ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দেশটি সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনদিনের সফরে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ার) দুপুরে সাংবাদিকদের মোমেন বলেন, আমেরিকা যাচ্ছি, এখানে আমাদের কয়েকটি মিটিং আয়োজন হয়েছে। বিশেষ করে নতুন সরকার আসছে। নতুন সরকারের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন চাই।
মোমেন বলেন, আমি ব্রড বেইজড আলাপ করব। তারা নতুন একটা ফরেন পলিসি দিয়েছে। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখানে ভূরাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেসব আমরা তাদের তুলে ধরব। সুতরাং তারাও আমাদের সেভাবে দেখে।
মোমেন জানান, সফরে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং চেয়ারম্যান অব দি সেনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চাই। আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে, আর আমেরিকাও অনেক বড় দেশ। তাদের সাথে যদি আমাদের সম্পর্ক আরো উন্নত করতে পারি, দিজ ইজ এ উইন-উইন।
“আমাদের দেশে এখনে অনেক কিছু অফার করার সুযোগ আছে” মন্তব্য করে মোমেন বলেন, আমেরিকা এক নম্বর ইনভেস্টর ইন বাংলাদেশ। মোস্টলি ইন এনার্জি সেক্টর আবার অন্যান্য সেক্টরও আছে। আমরা এখন ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টর ওপেন করেছি। উই ওয়ান্ট টু ব্রডেনিং।
বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি গণমাধ্যমে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ সম্পর্কে কোনো কোনো সময় নেতিবাচক প্রচারণা বিদেশে হয়। আমরা সেই নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে সেখানে দুয়েকটা মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দেবো। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নেতিবাচক প্রচারণার জবাব দেয়া।
কী ধরনের নেতিবাচক প্রচার- সে বিষয়ে মোমেন বলেন, যেমন ধরুন- বলা হয় আমরা খুব বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করি। একেবারে মিথ্যা কথা। আমাদের দেশে কালেভদ্রে দুয়েকটা হয়। আমেরিকাতে পুলিশ অনেক লোক মারে, ইচ্ছা করে মারে না, মরে যায়। গত এক বছরে দেখেন ১০০৪ জনকে পুলিশ মেরে ফেলেছে। উইদাউট ডিউ প্রসেস অব দি ল’। ইচ্ছা করে তো মারে না, বিভিন্ন কারণে মারা যায়। আর আমাদের এখানে মনে হয়, যেন আমরা ইচ্ছা করে করেছি!