এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ

ছৈয়দ আহমদ তানশীর উদ্দিন নার্সিং কর্মকর্তা ও ডেপুটি ফোকাল পারসন, জেলা সদর হাসপাতাল সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি, কক্সবাজার

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:৫৩ এএম

কার্যকর পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থার মাধ্যমে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমতে পারে! সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেমন স্যানিটেশন, হাত ধোয়া, খাদ্য এবং পানি নিরাপত্তা বিধান এবং টিকা। অ্যান্টিমাইক্রোবালিয়াল (যেমন এন্টিবায়োটিক, এন্টিফাংগাল) শুধু প্রতিরোধী ক্ষুদ্র অণুজীবের বিস্তারকে হ্রাস করতে পারে। চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল ওষুধ ও ভাইরাল ইনফেকশনগুলোর জন্য ঘন ঘন antimicrobial ওষুধ অপব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা যেমন FDA এবং WHO এই প্রয়োজনীয় ওষুধগুলোর ব্যবহার আরো ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে। টিকাসহ কঠোর স্বাস্থ্যবিধি এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রতিরোধী ক্ষুদ্রগতির বিস্তারকে সীমাবদ্ধ করতে পারে এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের অপব্যবহার ও অতিরিক্ত ব্যবহারকে হ্রাস করতে পারে। বর্তমানে আরেকটি বিষয় লক্ষ করা গেছে—গবাদিপশু, হাস-মুরগির খামারে অযাচিতভাবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এন্টিবায়োটিক অকার্যকর হওয়ার এটি একটি অন্যতম কারণ। আবার অনেক সময় আমরা এন্টিবায়োটিক সেবন করার পর অবশিষ্টগুলো ফেলে দিই। কিংবা হাসপাতাল-ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধগুলো নষ্ট করার সময় খোলা মাঠে পুড়িয়ে ফেলি। ফলে খোলা বাতাসে মুক্ত ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এসে রেসিটেন্স হয়ে যাচ্ছে। কখনো কি ভেবে দেখি এসব ফেলে দেওয়া এন্টিবায়োটিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে কি না? ইদানীং সামান্য অসুখেও এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার বেড়েছে। অনেক সময় এন্টিবায়োটিকের কোর্স অসম্পন্ন থেকে যায়। এ কারণে এন্টিবায়োটিক অকার্যকর হচ্ছে। তাই এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে যা করণীয়—


১. হাত, কাজের ব্যবহারিক যন্ত্র, এবং রুম, রোগীর বিছানা জীবানমুক্ত করা।


২. বর্তমান নির্দেশিকা অনুযায়ী যখন প্রয়োজন হয় কেবল তখনই এন্টিবায়োটিক নির্ধারণ এবং বিতরণ।


৩. প্রতিটি হাসপাতালে নজরদারি দলের অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী সংক্রমণ রিপোর্ট।


৪. কীভাবে এন্টিবায়োটিক নিতে হবে, এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ এবং অপব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে রোগীদের সঙ্গে কথা বলা।


আসুন সচেতন হই, সংক্রমণ প্রতিরোধ করি, এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাই।



সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh