নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:০৯ পিএম
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে আগামী ২৬ মার্চ থেকে চালু হচ্ছে রেল যোগাযোগ। সপ্তাহে দুইদিন এই ট্রেন চলাচল করবে।
প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসবে। অন্যদিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়বে মঙ্গলবার ও শুক্রবার।
গতকাল বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুই দেশের রেল কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ভারতের রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) রবীন্দ্র কুমার ভার্মা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, বিরতিহীন নয় ঘণ্টার যাত্রায় ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছাবে। ১০টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনটি চলবে। জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৪৪৬ কিলোমিটার। ভারতের অংশে রয়েছে ৮৪ কিলোমিটার। এই দীর্ঘপথে থাকছে উভয় দেশের ১৫টি স্টেশন। তবে কোনো স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়াবে না।
এই পথের ভাড়া এখনো নির্ধারণ করা না হলেও ইঙ্গিত দেয়া হয়, এসির ভাড়া ২ হাজার, চেয়ারকোচের ভাড়া ১ হাজার ৫০০ ও স্লিপার ক্লাসের ভাড়া ১ হাজার ২০০-এর কাছাকাছি থাকবে।
গত ডিসেম্বর মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকে এই রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর গতকাল দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ট্রেন চালুর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পাকশি রেলওয়ে বিভাগের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম ও ভারতের পক্ষে কাটিহার বিভাগের ম্যানেজার রবীন্দ্র কুমার ভার্মা।
বৈঠক শেষে রবীন্দ্র বলেন, মূলত পর্যটন শিল্পকে সামনে রেখেই এই ট্রেন পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে সপ্তাহে দুইদিন এই ট্রেন চলবে। ২৬ মার্চ এনজেপি থেকে দুপুর ২টায় ট্রেনটি যাত্রা শুরু করবে। দুদেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এই রেল পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। এটি হবে পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের তৃতীয় রেল পরিষেবা।
এর আগে দুইদেশের মধ্যে দুটি ট্রেন পরিষেবা চালু হয়। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল চালু হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর। এছাড়া ভারতের হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের চিলাহাটি পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।