মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ স্কুলশিক্ষকের

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৫০ এএম | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:২৯ পিএম

লালমনিরহাটে লক্ষ্মীকান্ত রায় নামে এক স্কুলশিক্ষককে মৃত দেখিয়ে ভোটার তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি জেলার আদিতমারী উপজেলা বালাপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

ভোটার তালিকা নাম না থাকার কারণে লক্ষ্মীকান্ত গত সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এছাড়া কভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশনও করতে না পারাসহ তিনি নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। 

এ ব্যাপারে তিনি সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করলে ২০১৪ সালের ৩ জুন ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে মর্মে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়া হয়।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কাকেয়টেপা গ্রামের মৃত হিরম্ব চন্দ্র রায়ের ছেলে লক্ষ্মী কান্ত রায়। তিনি মারা গেছেন মর্মে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নাম কর্তনের আবেদনপত্রে তথ্য সরবরাহকারীর নাম লেখা রয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দা মনমোহন রায়ের নাম। উপজেলা নির্বাচন অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহকারী ধাইরখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোমিনুর রহমান, মোগলহাট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব ও তৎকালীন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাবউজ্জামান স্বাক্ষরিত ওই আবেদনপত্রে তাকে মৃত দেখানো হয়।

এদিকে এ ঘটনায় একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন নাম কর্তনের আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারীগণ। তথ্য সরবরাহকারী মনমোহন জানান, আবেদনপত্রে তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ তিনি এ বিষয়ে কাউকে কোনো তথ্য দেননি। 

মোগলহাট ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, নাম কর্তনের আবেদনপত্রে তার স্বাক্ষর ও অফিস সিল জাল করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহকারী মোমিনুর রহমান জানান, তিনি অন্য ইউনিয়নের লোক।

তথ্য সরবরাহকারীর তথ্যমতেই স্কুল শিক্ষক লক্ষ্মী কান্ত রায়কে মৃত দেখানো হয়েছে। ওই নামে অন্য কেউ মারা যাওয়াতে এমন সমস্যা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে তৎকালীন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আফতাবউজ্জামান বলেন, স্কুল শিক্ষকদের এই কাজে নিয়োগ দেয় উপজেলা নির্বাচন অফিস। সরবরাহকৃত তথ্যের ওপর সুপারভাইজরগণ শতকরা ২৫ ভাগ যাচাই-বাছাই করে থাকেন। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনপত্রে আমরা স্বাক্ষর করে থাকি। 

তবে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন অস্বীকার করলে তো আর কিছু করার নেই।  

লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল জানান, ওই নামে অন্য এক লোক মারা যাওয়ায় ভুলবশত তার নাম আবেদনপত্রে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে। অচিরেই এটি সমাধান করা হবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh