দশ বছরেও বদলায়নি হাটফাজিলপুর-নিত্যানন্দনপুর সড়কের ব্রীজ

আহমেদ নাসিম আনসারী

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২১, ০৩:৩০ পিএম

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জিকে সেচ প্রকল্পের খালের একটি ব্রীজ গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ভেঙে পড়ে আছে । হাটফাজিলপুর- নিত্যানন্দনপুর সড়কের হাটফাজিলপুরে ব্রীজটির অবস্থান। হাটফাজিলপুর থেকে নিত্যানন্দপুর বাওড় এলাকায় যাতায়তে খালের একমাত্র সড়কে এই ভাঙ্গাচোরা ব্রীজ। শৈলকুপা উপজেলা ঝিনাইদহের সবচেয়ে জনবহুল ও বৃহৎ একটি ব্যবসাকেন্দ্র। এই উপজেলার চারিদিক থেকে কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ি ও ঝিনাইদহের সংযোগ রয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলার মানুষ ব্যবসা-বানিজ্য সহ নিত্য প্রয়োজনে এই উপজেলার ভেতর দিয়ে যাতায়ত করে আসছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মানুষের চলাচলে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্রীজটি। তারা বলেন, দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ বছর এই ব্রীজটির  মাঝখানের অংশ ভেঙে যাওয়া ও রেলিং না থাকায় পথচারী সহ যানবাহন চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেইসাথে প্রায়ই দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।

 এই ব্রীজের উপর দিয়ে প্রতিদিন ২০ গ্রামের কমপক্ষে ৫০ হাজার  লোকজন চলাচল করে থাকে । এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ হওয়া স্বত্ত্বেও দিনের পর দিন সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে ।

শৈলকুপার আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ মোল্লা বলেন জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ) খালের উপর অবস্থিত এই ব্রীজটি ৮-১০ বছর হলেও, সংস্কার হয়নি।

 নিত্যানন্দনপুর এলাকার এক বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন,  ব্রীজটি ভেঙে যাওয়ায় মালামাল নিয়ে বাজারে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়, অনেকদূর ঘুরে মালামাল হাটে নিতে হয়, এতে পরিবহন খরচও বেড়ে যায়।

 বিষয়টি নিয়ে শৈলকুপার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিকর্ণ সাহা বলেন,  এই ব্রীজের ব্যাপারে  জিকে আইপি প্রজেক্টে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, অচিরেই ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ তাদের । এছাড়াও  শৈলকুপা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমেও কাজটি করার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানান।

যত দ্রুত সম্ভব ব্রীজটি সংস্কার করে সাধারণ মানুষের যাতায়ত ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।


সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh