যমজ শিশু জন্মের রেকর্ড

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২১, ০২:২০ পিএম

বিশ্বে যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি যমজ শিশু জন্ম হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িকী হিউম্যান রিপ্রোডাকশন এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। 

যমজ শিশুর সংখ্যা নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা এটি।

গবেষণা অনুযায়ী, প্রতি বছর পৃথিবীতে ১৬ লাখ যমজ শিশু জন্ম নেয়। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ৪০টি শিশু জন্মে একটি যমজের ঘটনা ঘটছে।

গবেষণার জন্য ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের ১৬৫টি দেশের তথ্য সংগ্রহ করেছেন গবেষকরা। এছাড়া ১১২টি দেশের ১৯৮০-১৯৮৫ সালের যমজ জন্মহারের উপাত্ত নিয়েছেন।

গবেষক দলের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান ম্যনদে বলেন, বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে শুরু করে যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলক ও বাস্তব সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে যমজের হার এখন বেশি ও সম্ভবত এটা সর্বকালের মধ্যেই সর্বোচ্চ।

অবশ্য দুই সময়কালেই আফ্রিকা মহাদেশে সবচেয়ে বেশি যমজের তথ্য মিলেছে। সেখানকার জনগোষ্ঠীর সাথে অন্য অঞ্চলের মানুষের ‘জিনগত পার্থক্য' এর অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করেন ম্যনদে।

গবেষণা অনুযায়ী সন্তান জন্মের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি যমজ জন্মহার বাড়ার অন্যতম কারণ। এছাড়াও নারীদের মধ্যে বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ায় প্রবণতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়াও আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

দরিদ্র দেশগুলোতে যমজ জন্মহার বেশি হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ম্যনদে। এইসব দেশে যমজ সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে শিশু মৃত্যুর হার বেশি থাকে। সেইসাথে মায়েরাও গর্ভধারণকালে ও সন্তান জন্মের পরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভোগেন।

গবেষক ইয়্যোরোন স্মিড্‌ঠ জানান, সাব-সাহারভুক্ত আফ্রিকায় অনেক যমজ ভাইবোনের একজন জন্মের প্রথম বছরেই মারা যায়। কিন্তু এই চিত্র উন্নত দেশে আলাদা। পশ্চিমা অনেক উন্নত দেশের জমজ হার এখন সাব-সাহার আফ্রিকার কাছাকাছি পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু বেঁচে থাকার সম্ভাবনায় এই দুই অঞ্চলের মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে। -ডয়চে ভেলে

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh