কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২১, ০৯:৫৭ পিএম
কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু রায়হান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বিকালে কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের আবাসিক হোটেল সুইট হোম রিসোর্টের একটি কক্ষ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল মালেক (২৮) কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা সওদাগর পাড়ার জাগির হোসেনের ছেলে।
তবে কারা, কি কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
হোটেল সুইট হোম রিসোর্টের ম্যানেজার সৌরভ কবির বলেন, সোমবার সকালে ঢাকা থেকে আসা মো. বাবু ও মো. নজরুল ইসলাম ৩০২ নম্বর কক্ষটি একদিনের জন্য ভাড়া নিয়ে হোটেলে উঠেন। দিনভর তারা হোটেলেই অবস্থান করছিলেন।
হোটেল কক্ষ ভাড়া নেয়া পর্যটকদের সঙ্গে আব্দুল মালেকের পূর্ব পরিচয় ছিলো। সেই সূত্রে দিনের যে কোন সময় সে (আব্দুল মালেক) হোটেলে এসে ওই কক্ষে তাদের (পর্যটক) সাথে সাক্ষাত করে।
হোটেল ম্যানেজার বলেন, স্বাভাবিকভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষ ধরে নিয়েছিল রাতেও পর্যটকরা নিজেদের কক্ষে অবস্থান করছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা ১২ টার পর হোটেল কক্ষ ছাড়ার সময় হলে কর্মচারীরা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পায়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও ভেতরে থাকা লোকজনের কোনো ধরণের সাড়া শব্দ পায়নি। পরে আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে দরজার তালা খোলা হয়। এসময় একজনকে কক্ষের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এরপর বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
হোটেলের নিবন্ধন খাতায় লিপিবদ্ধ থাকার তথ্য উল্লেখ করে সৌরভ বলেন, ঢাকার খিলগাঁও থানার মালিবাগ এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালামের ছেলে মো. বাবু এবং একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম নামের দুই যুবক হোটেল কক্ষটি ভাড়া নিয়েছিল। আব্দুল মালেকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর সিসিটিভি’র ফুটেজে দেখা যায় হোটেল কক্ষ ভাড়া নেয়া ওই দুই যুবক সর্বশেষ সোমবার রাত ১০ টা ২২ মিনিটে বের হয়ে আর ফিরেনি।
উপ-পরিদর্শক আবু রায়হান বলেন, বিকালে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে কক্ষের মেঝেতে খাটের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এসআই আবু রায়হান।