বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীন থেকে প্রাদুর্ভাব হওয়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ।

জরিপ পর্যালোচনাকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ ফেব্রুয়ারি) সকালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১২ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৯৪ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৭২৮ জনের। 

আর ভাইরাসটিতে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৭৬৯ জন। 

ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মিলেছে করোনার নতুন ধরন। যা আগের ভাইরাস থেকে অনেকটা শক্তিশালী বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। করোনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৯৮ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৬৪৯ জনের।

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দেশের তালিকায় রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ১৭ লাখ ৪৩১ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জনের।

বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত রয়েছে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৫ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০জন। 

আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৬ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৯৩ হাজার ৩৬৪ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় ও মৃত্যুতে পঞ্চম স্থানে আছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৪২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৯ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮৩১ জনের।

আক্রান্ত দেশের তালিকায় ফ্রান্স রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৯ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট ৯১ হাজার ৪৩৭ জন। 

আক্রান্ত দেশের তালিকায় ইতালি রয়েছে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩২ লাখ ৮১ হাজার ৮১০ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছে মোট এক লাখ ৩ হাজার ৪৩২ জন। 

মেক্সিকো আক্রান্ত দেশের তালিকায় ১৩তম স্থানে থাকলেও সর্বাধিক মৃতের সংখ্যায় রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ২১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬২ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৮ জনের।

স্পেন আছে আক্রান্তের তালিকায় অষ্টম স্থানে, তুরস্ক নবম ও জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। আর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম। সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় যে বিষয়টি তা হলো, এই এক বছরের মধ্যে চীন সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষ স্থান থেকে ৮৬ নম্বর স্থানে নেমে এসেছে।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় গত বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। আর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।