জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

বঙ্গবন্ধুর কাছে ফিরে যাওয়া ভিন্ন বিকল্প নেই

শেখর দত্ত

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২১, ০১:১৫ পিএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আজ তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর; কিন্তু মাত্র ৫৫ বছর ৫ মাস বয়সে পৃথিবীর অন্যতম নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির পিতা ও অবিসংবাদিত নেতাকে হত্যা ও ক্যুর ভেতর দিয়ে ছিনিয়ে নেয়ায় জাতি হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাতীয় চারনীতি হয় ভূলুণ্ঠিত। 

এরই ধারাবাহিকতায় জেলখানায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর, মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্বপ্রদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জমানকে হত্যা করে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করা হয়।

এক কথায় পাকিস্তানি আমলে লড়াই-সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছিল, তাকে সমূলে পদদলিত করতে নানা প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিল পরাজিত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি; কিন্তু ওরা পারেনি। তবে অশুভ শক্তি এখনো নিঃশেষিত হয়নি। ইতিমধ্যে বিশ্ব পরিস্থিতি দক্ষিণ ও প্রতিক্রিয়ামুখী হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশেও। এই অবস্থায় যখন মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে; তখন দেশকে শত-লক্ষ শহীদের স্বপ্নসাধ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে বঙ্গবন্ধুর কাছে ফিরে যাওয়া ভিন্ন বিকল্প আর কিছু নেই। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির জীবন ও কর্মের দিক-নির্দেশ হচ্ছে জাতির অফুরাণ প্রেরণার উৎস ও দিকভ্রান্ত না হওয়ার একমাত্র উপায়।

কৃত্রিম রাষ্ট্র পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সময় ও আটচল্লিশের ভাষা আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব ছিলেন ছাত্রনেতা। আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুমের ভেতর দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন নবপ্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম-সম্পাদক, রাজনৈতিক নেতা। এরপর সহজাত রাজনৈতিক নেতার গুণাবলী থাকায় পূর্বসূরিদের স্নেহ-ভালোবাসা, সহকর্মীদের সাহচর্য-সমর্থন আর মানুষের আস্থা-বিশ্বাসের কারণে তরুণ শেখ মুজিবকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। পঞ্চাশের দশকে পূর্ব বাংলার রাজনীতির মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

লেখক: শেখর দত্ত

স্বাধীকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম ও জেল-জুলুমের ভেতর দিয়ে উনসত্তরে এসে বঙ্গবন্ধু হিসাবে জনগণের অন্তরের গভীরে স্থান করে নেন। আন্দোলনের মধ্যমণি থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠাটা ছিল দেশের ইতিহাসে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল প্রধান ভূমিকার যোগ্য প্রাপ্তি। মহামূল্যবান মধ্যমণি থাকে বুকের ওপরে, এর ঔজ্জ্বল্যে শোভা-সম্মান-মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পায় আর বন্ধু থাকে বুকের ভেতরে চির উজ্জ্বল হয়ে। সংস্কৃত ভাষায় একটি শ্লোক রয়েছে, ‘উৎসবে ব্যসনে চৈব দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপ্লবে। রাজদ্বারে শ্মশানে চ যস্তিষ্ঠতি সবান্ধব।’ অর্থাৎ উৎসব, বিপদনাশ, দুর্ভিক্ষ, বিপ্লব, রাজ সাহায্য প্রাপ্তি ও মৃত্যুকালে যিনি পাশে থাকেন, তিনিই বন্ধু।

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন ও কর্ম দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, স্বাধীন দেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে মানুষ তাঁকে জাতির পিতা হিসেবে বরণ করে নেয়। শেখ সাব, মুজিব ভাই ডাকটা মুছে একসময় তিনি হয়ে ওঠেন সবার বঙ্গবন্ধু। দেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমান নামের সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটিও অমর, অক্ষয় ও অপরাজেয় হয়ে থাকবে।

তথাকথিত আগরতলা মামলায় সরকারের অভিযোগনামায় বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলা আন্দোলন গোপনে পরিচালনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের ছদ্মনাম ছিল ‘পরশ’। তিনি সত্যিকার অর্থেই ছিলেন পরশ পাথর। জাতীয় মর্যাদা ও অধিকার রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানি শাসনকে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা অস্ত্র হাতে লড়াই করে রক্ত ও ত্যাগের ভেতর দিয়ে ছিনিয়ে এনেছিল। বাঙালি জাতির ভাগ্যবিধাতা হতে সক্ষম হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু আজ সশরীরে আমাদের মাঝে নেই সত্য; কিন্তু আমাদের এই মানচিত্রে জনগণের জীবনে-কর্মে-মননে-চিন্তায় রয়েছেন ওই মহামানব। গানের ভাষায় বলতে হয়, ‘..ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে/আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।’ প্রকৃত বিচারে আমাদের জাতির জন্মের উৎসমুখে মহাগৌরব ও মর্যাদায় জাতীয় অন্যান্য বীরদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দাঁড়িয়ে আছেন সবার সামনে অবিনশ্বর মর্মর মূর্তি হয়ে। জাতির চিরপ্রেরণার উৎস তিনি। কবি তাই অন্তরের সঠিক কথাগুলোই উচ্চারণ করেছেন: ‘যতদিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান/ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’

প্রসঙ্গত, আমাদের জাতির ইতিহাসে ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চড়াই-উৎরাইয়ের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা সংগ্রামমুখর ও রক্তাপ্লুত দিনগুলো যে কোনো গল্পকথাকেও যেন হার মানায়। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে জননেতা ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত মায়ের ভাষা বাংলার দাবি তুলে ধরেছিলেন। আর ১৯৬৯ সালের ২৩ মার্চ বাঙালি তাদের প্রাণপ্রিয় অবিসংবাদিত নেতাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছিল। বাংলা মায়ের সন্তানরা বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠা করে মাকে রক্ষা করেছেন, আর বাংলা মা সন্তানদের ভাগ্যবিধাতা হিসেবে নিজের হাতে উপহার দিয়েছেন তার যোগ্য সন্তান শেখ মুজিবুর রহমানকে।

পাকিস্তানের শাসক-শোষকগোষ্ঠীর প্রতিভু সেনাশাসক আইয়ুব খানের (১৯৫৮-১৯৬৯) সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ষাট দশকের শুরু থেকে শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে গণজাগরণ দানা বেঁধে উঠে ক্রমে বিস্তৃত ও গভীর হতে থাকে, তা ১৯৬৯ সালে এসে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ঊনসত্তর সালে ৬-দফা সম্বলিত ১১-দফা আদায় বিশেষত আগরতলা মামলা থেকে জনগণ প্রিয় নেতাকে মুক্ত করতে যদি রাস্তায় না নেমে আসত, দাবি মানতে সরকারকে যদি বাধ্য করতে না পারত; তবে সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতির নিরঙ্কুশ বিজয় এবং একাত্তরে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিতে স্বাধীন স্বদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়েই আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা রূপে প্রতিষ্ঠিত হন। ইতিহাসে তিনিই প্রথম এই মানচিত্রের জনগণকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ ও অজেয় করে তুলেছিলেন। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে গৌরব ও মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

সার্বিক বিচারে শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা ঘোষণা করে বাঙালি জাতির রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যান। ওই আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশারই বাস্তব প্রতিফলন ছিল ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে ১১-দফার গণঅভ্যুত্থান। এর ফলেই তথাকথিত আগরতলা মামলার আসামি কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিলাভ করেন এবং তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হন। এককথায় সামরিক শাসনের পর থেকে গণজাগরণ সৃষ্টিতে কখনও তিনি প্রত্যক্ষভাবে রাজনৈতিক মাঠে থাকেন; আবার কখনো জেলের অভ্যন্তর থেকে পরোক্ষভাবে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। অব্যাহত এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়েই তিনি বঙ্গবন্ধু হিসেবে জনগণের অন্তরে স্থান করে নেন।

জাতীয় দাবি, জাতীয় ঐক্য, জাতীয় নেতা- এই তিনের সম্মিলন ঘটেছিল বলেই গণঅভ্যুত্থান ও সত্তরের নির্বাচনের পটভূমিতে জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীন স্বদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। প্রকৃত অর্থে শ্রমে-মননে, কর্মে-চিন্তায়, জয়ে-পরাজয়ে, গ্রহণে-বর্জনে, বিদ্রোহে-সৃজনে, ত্যাগে-অর্জনে, সাধনায়-স্বপ্নে এ মানচিত্রে বসবাসকারী জনগণ হাজার বছরে যে বর্ণিল ইতিহাস রচনা করেছে, সেই ইতিহাসের প্রথম চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গণঅভ্যুত্থানে। মুক্তিযুদ্ধ এরই ধারাবাহিকতা।

গণঅভ্যুত্থান যথার্থভাবেই প্রমাণ করেছে, ইতিহাসের স্রষ্টা হচ্ছে জনগণ ও জনগণকে স্রষ্টা রূপে সৃষ্টি করতে পারে কেবল জাতীয় নেতা। এই দিক বিচারে ইতিহাসের মহানায়ক জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন ঠিক পরশপাথরের মতো, যিনি বিচ্ছিন্ন জনগণকে ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার’ মতো লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ ও অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত করেন। এই শক্তিই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে জনগণকে অনুপ্রাণিত করে। বাস্তবে নায়করূপী জনতার মধ্যে জেগে ওঠা সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশা, দৃঢ়তা-দোদুল্যমানতা, স্বতঃস্ফূর্ততা-সচেতনতা, ঐক্য-অনৈক্য, স্বপ্ন-বাস্তবতার টানাপড়েনে গণঅভ্যুত্থান নামক মহাকাব্য রাজনীতির মহাকবি শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইপ্সিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছে। এ কারণেই আগরতলা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে বিজয়ী বীরের বেশে বঙ্গবন্ধু যখন গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিতে পশ্চিম পাকিস্তানে যান, তখন ‘পূর্ব পাকিস্তান এসেছে’ বলে জনরব উঠেছিল। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু তাই এক ও অবিভাজ্য। বলাই বাহুল্য গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধ আর সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গর্ব ও অহংকার।

রাজনীতির মধ্যমণি থেকে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হিসাবে গণমনে স্থান করে নেয়ার কাজটা খুব সহজসাধ্য ছিল না। কিন্তু সহজাত মেধা, বিচারবুদ্ধি, একাগ্রতা, প্রত্যুৎপণ্যতা, ধৈর্য, সাহস, দেশ ও জনগণের প্রতি ভালোবাসা প্রভৃতি অসামান্য গুণাবলি ছিল বলেই তিনি অবিসংবাদিত নেতা রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ইতিহাসের গতিধারায় সময় তাঁকে সৃষ্টি করেছে; আর সময়ের সঠিক ব্যবহার করে তিনি বঙ্গবন্ধু হিসেবে বাংলার ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। ‘তিন বছর কিছু দিতে পারবেন না’ বলে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন স্বদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন; কিন্তু ‘চাটার দল’ ও ‘রাতের বাহিনী’র অপতৎপরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষভাবে খাদ্য নিয়ে দেশি-বিদেশি পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত এবং সবশেষে হত্যা-ক্যু সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই এই মহান নেতাকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমাদের ব্যর্থতা ও দুর্ভাগ্য, জাতির এই অবিসংবাদিত নেতাকে আমরা নেতৃত্ব দিতে আমাদের মধ্যে ধরে রাখতে পারিনি।

আজ যখন জাতি মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে, তখন বঙ্গবন্ধুর জীবনের উল্লিখিত দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ইস্পিত লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হওয়া ভিন্ন বিকল্প নেই। জাতির উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকা বাতিঘর হিসাবে বঙ্গবন্ধু চিরঞ্জীব থাকুন, এটাই একান্ত কামনা।

জন্মদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জানাই অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh