গাইবান্ধায় ২২ ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার সড়কে আল্পনা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২১, ০৯:৪৬ এএম

ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি

ছবি: গাইবান্ধা প্রতিনিধি

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করতে ও গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে গাইবান্ধায় মাত্র ২২ ঘন্টায় সম্পন্ন হলো ১০ কিলোমিটার সড়কে আল্পনা অঙ্কনের কাজ। 

গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়ে আল্পনা আঁকার কাজ শেষ হয় গত শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায়। পরে দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসের সামনে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই অঙ্কন কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 

অঙ্কনের সমাপ্তি ঘোষণার পর আবদুল মতিন বলেন, দীর্ঘ সড়কে অঙ্কনের জন্য গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে গাইবান্ধার নাম উঠবে ভেবে খুব ভালো লাগছে। 


গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের জেলা শহরের পুলিশ লাইনসের সামনে আল্পনা অঙ্কন কাজের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। 

‘দেখাবে গাইবান্ধা, দেখবে দেশ, রেকর্ড করবে বাংলাদেশ’ শ্লোগাণে এই কর্মসুচির নাম দেয়া হয় ‘বিশ্বের দীর্ঘতম আল্পনা উৎসব’। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধার (পুসাগ) শিক্ষার্থীরা ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ আল্পনা অঙ্কনের এই উদ্যোগ নেন। এতে প্রায় এক হাজার ১০০ শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক অঙ্কন শিল্পী অংশ নেন। 

পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধার (পুসাগ) সভাপতি হুসেইন মো. জীম বলেন, জেলা শহরের পুলিশ লাইনস থেকে সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় পর্যন্ত গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের ১০ কিলোমিটার অংশ অঙ্কন কাজ শুরু হয় বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায়। এই আল্পনা অঙ্কনের কাজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অঙ্কনের কাজ শেষ হয়।


তিনি আরো বলেন, ১০ কিলোমিটার সড়কে আল্পনা আঁকার কাজ ২৪ ঘন্টা সময় নিয়ে ২২ ঘন্টায় যে শেষ করতে পেরেছি তা সম্ভব হয়েছে শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকদের দিনরাত পরিশ্রমের কারণে। এজন্য সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। 

এখন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এই আলপনা লিপিবদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh