মুন্সীগঞ্জে সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২১, ১২:৩৪ পিএম

মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় উত্তর ইসলামপুর এলাকায় সালিশ বৈঠকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান মারা গেছেন।

গতকাল বুধবার (২৪ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে সালিশ বৈঠকে দুইপক্ষের সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত ও আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

অপর নিহতরা হলেন- ওই এলাকার কাশেম পাঠানের ছেলে মো. ইমন পাঠান (২০) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সাকিব হোসেন (১৯)। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ উত্তর ইসলামপুর এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে রাত ১০টার দিকে উত্তর ইসলামপুর এলাকার জামালের দোকানের সামনে স্থানীয় সৌরভ ও ইমনের লোকজন নিয়ে সালিশি বৈঠক বসে। এ সময় আওলাদ হোসেন মিন্টু দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করে দেন। কিন্তু সৌরভের বাবা জামাল বিচার না মানলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে সৌরভ ও ইমন গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রার্থী মিন্টু প্রধান, ইমন ও সাকিব ছুরিকাহত হন। ওই তিনজনের পেটে ও বুকে একাধিক আঘাত করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত মিন্টু প্রধান ও সাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাত আড়াইটার দিকে ঢামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢামেকে চিকিৎসাধীন মিন্টু প্রধান মারা গেছেন বলে স্বজনরা নিশ্চিত করেছেন।

সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ঘটনার পরপরই উত্তর ইসলামপুর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh