ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২১, ০৩:৩৬ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২১, ০৩:৪৩ পিএম
শহরে মাদ্রাসা ছাত্রদের বিক্ষোভ-ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আশিকের (১৮) লাশ শুক্রবার রাত দেড়টায় জানাজা শেষে উত্তর মোড়াইল গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে তার লাশের কোনো ময়নাতদন্ত হয়নি।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার শওকত হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ পাবলিকে নিয়ে গেছে। আমরা সেটি পুলিশকে জানিয়েছি। সে গুলিবিদ্ধ কি না, তা জানি না। তবে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে জানিয়েছেন তার পেটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শহরের কাউতলী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয় আশিক। সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে তার লাশ নিয়ে মিছিল করতে করতে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে যায় মাদ্রাসা ছাত্ররা। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হামলার সময় সে গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানা গেছে।
আশিকের বাবা সাগর মিয়া জানান, প্রথমে তার ছেলের লাশ মাদ্রাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারা লাশ নিয়ে মিছিল করতে চেয়েছিলো। পরে লাশ দিয়ে দেয়া হয়। এরপর লাশ নিয়ে তিনি কান্দিপাড়ায় বাবার বাড়িতে চলে যান। আশিকের দাদা-দাদীকে তার মৃতদেহ দেখিয়ে নিজের ভাড়াটিয়া বাসস্থান দাতিয়ারা নিয়ে আসেন। এরপর জানাজা শেষে দাফন করেন।
সাগর মিয়ার ৩ ছেলের মধ্যে মেঝ আশিক। সে গাড়ির ইঞ্জিন মেকানিক ছিলো। সাগর মিয়া রিকসা চালান। তিনি জানান, তার ছেলে কাজ থেকে ফিরছিলো। রিকসা করে ফেরার পথে এসপি অফিস এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। হুজুররা তার ছেলের লাশের ময়নাতদন্ত করতে দেয়নি।
মামলা করবেন না জানিয়ে বলেন, মামলা করে কি হবে। শুক্রবারের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়।