বাঁশের সাঁকোই ভরসা

এস কে শাহেদ

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ০৫:৩২ পিএম

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের বনমালী গ্রাম। গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে রত্নাই নদী। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পরেও একটি সেতুর জন্য নদীর দুই পাড়ের প্রায় ২০হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁশ দিয়ে নদীর উপর ছোট আকারের অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড় হচ্ছেন গ্রামের সব বয়সী মানুষ। নদীর ওপর গ্রামবাসীর তৈরি বাঁশের সাঁকোর দক্ষিণে বনমালী, চরবুদার গ্রাম ও আলোকদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলাখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশুরীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। আর উত্তরে চরখাটামারী, চর সোনাইকাজি, কোদালকাটি, বস্তিখাটামারী, ধনিরাম গ্রাম ও চরখাটামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরখাটামারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। গ্রামের মানুষগুলো কৃষি নির্ভর। 

এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলু, শাক সবজিসহ নানা ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। শস্য ভাণ্ডারখ্যাত পুরো এলাকা। গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী মাথায় নিয়ে ওই সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে। ওই সেতু দিয়ে পাড় হতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থী, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরেও ওই নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় বাঁশের সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা।

চরখাটামারী গ্রামের বাসিন্দা কলেজছাত্র আদনান আহমেদ বলেন, আমাদের এই এলাকা থেকে বড়বাড়ি কলেজে যেতে অনেক কষ্ট করতে হয়। ভোগান্তী লাঘবের জন্য ওই বনমালী ও চরখাটামারী এলাকার মাঝখানে একটি সেতু নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। 

চরখাটামারী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল করিম বলেন, উৎপাদিত পণ্য বাজারে নিতে ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। এতে বেড়ে যায় পরিবহন খরচ। তিনিও বনমালী ও চরখাটামারী এলাকার মাঝখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh