শেফস টেবিলের ৩৬ রেস্টুরেন্টের ভ্যাট ফাঁকি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ১০:৫০ এএম

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর রাজধানীর মাদানি এভিনিউর ফুডকোর্ট শেফস টেবিলের ৩৬টি রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বড় আকারে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।

অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত ২২ মার্চ শেফস টেবিলে অভিযানটি পরিচালনা করেন।

শেফস টেবিল ইউনাইটেড গ্রুপের আয়োজনে একটি ফুডকোর্ট। এটি ইউনাইটেড সিটি, মাদানি এভিনিউ, সাতারকুল, বাড্ডায় অবস্থিত। রাজধানীর ভোজন রসিকদের একটি প্রিয় খাবারের সমাহার। এই ফুডকোর্টে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩৬টি খাবারের দোকান রয়েছে। এটি উদ্বোধন করা হয় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে।

অভিযানের সূত্রে অনুসন্ধানে দেখা যায়, শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত ১৩ মাসে মোট ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকার বিক্রির তথ্য গোপন করা হয়েছে। করোনার কারণে ফুডকোর্ট এপ্রিল ২০২০ থেকে জুন ২০২০ তিন মাস বন্ধ ছিল। ওই ১১ মাসে ৩৬টি রেস্টুরেন্টে প্রকৃত বিক্রয় ছিল ২৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ও ভ্যাটযোগ্য মূল্য ছিল ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এই ৩৬টি রেস্টুরেন্ট পৃথকভাবে ভ্যাট রিটার্নে প্রদর্শন করেছে ২ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বিক্রয়। তাদের অপ্রদর্শিত সেলসের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

এসব রেস্টুরেন্টের গোপনকৃত বিক্রয়ের উপর ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এসব রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবার বিক্রির সময়ে ক্রেতাদের নিকট থেকে ভ্যাট আদায় করা হয়। কিন্তু জনগণের নিকট থেকে আদায়কৃত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি।

অভিযানে গোয়েন্দা দল ইউনাইটেড গ্রুপের শেফস টেবিলের কম্পিউটারের তথ্য ও অন্যান্য বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করে আনে। শেফস টেবিল প্রতিটি রেস্টুরেন্ট থেকে ১৮ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ারিং করে। এই তথ্যাদি ও রেস্টুরেন্টের রিটার্ন যাচাই করে এই হিসাব বের করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানভিত্তিক তালিকা এই সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী, দেখা যায় বেশি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে আফগান গ্রিল ২৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা, দরবার ক্যাটারিং ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, টরকা এক্সপ্রেস ২৪ কোটি ৬০ লাখ, পাঞ্জাব কিচেন ১৪ কোটি ৪ লাখ টাকা, থাই এমারেল্ড ১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, এবসলিউট থাই ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, সিলান্ট্রো ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, পিৎজা গাই ১২ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আলফ্রেসকো ১১ লাখ টাকা।

ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে প্রত্যেকটি রেস্টুরেন্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।- বাসস

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh