ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২১, ১১:২২ এএম
ওয়াহিদা রহমান
বহুদিন আগের কথা। বলিউড অভিনেত্রী ওয়াহিদা রহমান তখন ভারতের চেন্নাইয়ে থাকতেন। ভীষণ ইচ্ছা ছিলো, ভরতনাট্যম শিখবেন।
তিরুচেন্দুর মীনাক্ষী সুন্দরম পিল্লাই সেই সময় সেখানকার প্রথম সারির গুরুজি। ওয়াহিদা ঠিক করলেন তার কাছেই নাচ শিখবেন। বন্ধুর মাধ্যমে নাচ শেখার ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন গুরুজির কাছে।
কিন্তু বেঁকে বসলেন গুরুজি স্বয়ং। কেন? ‘আমি মুসলিম। আমি ভরতনাট্যমের অনেক মুদ্রা, নাচের অনেক অংশ করতে পারব না। তাই তিনি আমায় নাচ শেখাবেন না’, জানিয়েছেন খোদ ‘গাইড’ অভিনেত্রী।
ওয়াহিদা রহমান, আশা পারেখ ও হেলেন সম্প্রতি অতিথি বিচারক হয়ে এসেছিলেন মুম্বাইয়ের নাচের এক রিয়্যালিটি শোতে। সেখানেই মাধুরী দীক্ষিত ওয়াহিদার ভরতনাট্যম শেখার কথা তুলতেই এই ঘটনা বলেন তিনি।
ভাইরাল হওয়া সেই মুহূর্ত দেখিয়েছে, উপস্থিত প্রত্যেকেই বিস্মিত ওয়াহিদার এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে। কিন্তু বিস্ময়ের তখনও বাকি। প্রবীণ অভিনেত্রীর কথায়, আমিও নাছোড়বান্দা! শিক্ষার আবার জাতি-ধর্ম হয় নাকি? আমার বন্ধুকে, বারেবারে পাঠাতে লাগলাম গুরুজির কাছে। ওয়াহিদাকে ঠেকাতে শেষে তার কুষ্ঠি চেয়ে পাঠালেন তিরুচেন্দুর। ওয়াহিদার কুষ্ঠি নেই। তিনি পড়লেন বিপদে। তখন গুরুজিই অভিনেত্রীর জন্ম তারিখ, সাল, জেনে কুষ্ঠি বানালেন। তার কুষ্ঠিই বদলে দিয়েছিল তার ভাগ্য।
কী ভাবে? কুষ্ঠি বিচার করে গুরুজি আনন্দে আটখানা। ওয়াহিদাকে নাচ শেখাতেও রাজি। তিনি নাকি জেনেছিলেন, ওয়াহিদাই তার শেষ ভারত বিখ্যাত নাচের ছাত্রী হবেন। -আনন্দবাজার পত্রিকা