ইউরোপ থেকে এলেই কোয়ারেন্টিন, মধ্যরাত থেকে কার্যকর

যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ থেকে আগত সব যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে বা হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

তবে ইউরোপ ছাড়া অন্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) মধ্যরাত থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে। যাত্রীদের ভ্যাকসিন দেয়া থাকলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

নতুন এ নির্দেশনা ছাড়াও আগের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার সময় বাধ্যতামূলকভাবে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সাথে রাখতে হবে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়াউল কবির স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়।

এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ মার্চ) সরকারি প্রজ্ঞাপনে শুধু যুক্তরাজ্য নয়, যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে এলেই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে (হোটেলে নিজ খরচে) থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপসহ অন্য যেকোনো দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানে আরোহনের সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা বা তার কম সময়ের মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি পরীক্ষাকৃত করোনা নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন করতে হবে। এরপর ইউরোপ ব্যতিত অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীরা হোম কোয়ারেন্টিনে যাবেন। 

তবে বিমাববন্দরে নামার পর কারও মধ্যে করোনার লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিলে তাকেও ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। তারা নিজ খরচে সরকার অনুমোদিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন।

এর আগে ডিসেম্বরের প্রথমদিকে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়। পরবর্তীতে তা কমিয়ে সাতদিন করা হয়।